জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তা হামিদুর রশীদ জামিনে মুক্ত

প্রকাশ : ২১ জুন ২০১৭, ১০:৪৩

সাহস ডেস্ক

গৃহকর্মীকে ঠকানো ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তা হামিদুর রশীদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

হামিদুর রশীদকে (৫০) মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে নিউ ইয়র্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিদেশি কর্মী নিয়োগের চুক্তিতে জালিয়াতি, ভিসা জালিয়াতি  এবং পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

ওই দিন বিকালে হামিদুরকে ম্যানহাটন ফেডারেল কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক জেমস কট শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

হামিদুরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাষ্ট্রনিযুক্ত একজন আইনজীবী। পরে তিনি জানান, হামিদুর অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। তিনি আরেকজন আইনজীবী নিয়োগ করবেন।  

নিউইয়র্কের একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, হামিদুর রশিদ জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশনের প্রধান হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তারের পর তাকে ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে তোলা হয় এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন পান তিনি। 

এর আগে গত সপ্তাহে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নিউইয়র্কের বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে তীব্র আলোচনার মধ্যেই আরেক বাংলাদেশি গ্রেপ্তারের খবর এলো।  অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই বাংলাদেশি কূটনীতিক গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশটির গণমাধ্যমে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, হামিদুর রশিদ বাংলাদেশ থেকে আনা গৃহকর্মীর জন্য প্রযোজ্য জি-৫ ভিসার নিয়ম অনুযায়ী যে মজুরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন, তা পরবর্তী সময়ে আর মানা হয়নি।

সাপ্তাহিক ৪২০ ডলার মজুরিতে গৃহকর্মী নিয়োগের চুক্তিপত্র পররাষ্ট্র দপ্তরে দাখিল করা হলেও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে গৃহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে নতুন একটি চুক্তিপত্রে সই নেন। সেখানে সাপ্তাহিক মজুরি দেখানো হয় ২৯০ ডলার। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী গৃহকর্মীকে সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করানোর অভিযোগও আনা হয়।

এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে হামিদুর রশীদের সর্বোচ্চ ২৯ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ওই গৃহকর্মী চার বছর আগেই হামিদুর রশীদের কাজ ছেড়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত