পাটশিল্পকে আর অবহেলা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪০

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাট ও পাটশিল্পকে অবহেলা করা যাবে না। তিনি বলেন, একসময় পাট রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হতো। এখনও পাট থেকে অনেক পণ্য তৈরি করা হয়। তাই পাটশিল্পকে আর অবহেলা করা যাবে না। 

আজ ৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পাট দিবস ২০১৭  উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও পাটমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পাটের শাড়ি পরে আসেন। এ সময় তার হাতে পাটের ভ্যানিটি ব্যাগও দেখা যায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এমাজউদ্দিন প্রামাণিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের পাটকলগুলো একে একে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদের বিকাশ ঘটাতে পাট নিয়ে কাজ শুরু করি। কারণ আমরা জানি প্রাকৃতিক নিয়মে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে পাটের ভূমিকা আছে। ক্ষমতায় এসে খুলনার খালিশপুরসহ অনেক পাটকল আমরা চালু করেছি। তিনি আরও বলেন, আজ প্রায় ৩৫ রকম পণ্য পাট থেকে উৎপাদন হচ্ছে। পাটের শাড়ি না হলে একসময় মেয়েদের বিয়ে হতো না। এখন আসবাবপত্রও পাট থেকে তৈরি হচ্ছে। 

পাটের প্রতি স্বাধীনতাবিরোধীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আছে। যার ফলে বিএনপির সময় আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ২৬ হাজার লোক বেকার হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে পাটের গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেয়। ইতিমধ্যে ড.মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জন্ম রহস্য বের করা সম্ভব হয়েছে। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে আমরা এ গবেষণা করেছিলাম। জন্ম রহস্য আবিষ্কারের ফলে পাটের উৎপাদন ও এর ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাটকল বন্ধ করতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। ১৯৯৩ সাল থেকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিদায় দেওয়ার চুক্তিও করে। একই সময় বিশ্বব্যাংক ভারতকে পাটকল চালুর জন্য টাকা দেওয়ার চুক্তি করে। বিএনপির সময় বিশ্বব্যাংকের কথা ফেরেশতার মতো ছিল। তিনি আরও বলেন, পাট একটি সোনালি আঁশ। যার কপাল পুড়তে শুরু করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পাটই ছিল একসময় মূল্যবান সম্পদ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত