কাঁচা মরিচের ঝালে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০৫

আসাদুজ্জামান সাজু

কিছু দিন আগে প্রতি মন কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। গত দুই দিন ধরে তা বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কাঁচা মরিচের দামের ঝাল বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের কৃষকরা বেশ খুশি। এবার তুলনামূলক ঝড়-বৃষ্টি কম হওয়ায় মরিচের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারেও প্রচুর চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বিগত দুই বছরের ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিয়েছেন।

লালমনিরহাটের মরিচ ও সবজি এলাকা বলে খ্যাত আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রাম। এ গ্রামে মাঠের পর মাঠ মরিচ আর সবজি ক্ষেত। গত দুই বছর টানা বৃষ্টির কারণে অকালে গাছ মরে যাওয়ায় মরিচে কিছুটা লোকসান গুনতে হলেও এ বছর লোকসান পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

বড় কমলাবাড়ি গ্রামের মরিচ চাষি হেকমত আলী জানান, গত বছর ৭০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন। কিন্ত ঘন বৃষ্টিতে গাছ মরে যাওয়ায় তেমনটা লাভবান হননি। এ বছর ১০ হাজার টাকা খরচে মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। ১০ দিন পর পর ৪/৫ মণ মরিচ তুলতে পারেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো এক মাস মরিচ তুলতে পারবেন। ওই জমি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রির আশা তার।

এ মরিচ চাষকে কেন্দ্র করে দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরাও আছেন কাজের ব্যস্ততায়। গাছ থেকে এক মণ মরিচ তুলে দিলে মজুরী মিলছে ২ শত টাকা। এ কাজে বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছেন নারীরা। সংসারের কাজ শেষে বাড়তি আয়ের জন্য ছুটছেন মরিচ ক্ষেতে।

আদিতমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার জানান, এ বছর এ উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাজার ভাল থাকায় বেশ মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত