সাতক্ষীরায় গলদা চিংড়ির দাম কমায় হতাশ চাষীরা

গলদা চিংড়ির দাম কমায় হতাশ সাতক্ষীরার চিংড়ী চাষীরা। বিশ্ববাজারে গলদা চিংড়ির চাহিদা না থাকায় দেশের অভ্যন্তরেই বিক্রি হচ্ছে গলদা চিংড়ি। যার কারণে বর্তমানে গলদা চিংড়ির চাহিদা কম আবার দামও কম। বাজারে সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও চাষীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরার বিনেরপপোতা এলাকার চিংড়ি ব্যবসায়ী সজীব মন্ডল জানান, ব্যাপকভাবে বাজারে গলদা চিংড়ি উঠলেও দাম নেই। লোকসান গুণতে হচ্ছে সকল গলদা চিংড়ি চাষীদের। বেশী দামে খাদ্য কিনে মাছ উৎপাদনের পর কম দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চিংড়ি চাষীরা।

তিনি আরো বলেন, দেশের অভ্যন্তরেই এখন গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে গলদা চিংড়ির চাহিদা নেই। যার ফলে এমনটা হয়েছে। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে। এদের কারণেও বিশ্ব বাজারে চিংড়ির অনেকটা চাহিদা কমেছে। বিশ্ব বাজার ধরে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণের দাবী এ চাষীর।

অপর এক গলদা চিংড়ি ব্যবসায়ী মাজেদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষীরা মাছ বাজারে তুলতে শুরু করে। শুরুতেই দাম কম। গত অক্টোবর মাসে দাম আরও কমে যায়। কেজি প্রতি ১৩-১৪শ টাকা দামের বড় বড় গলদা চিংড়ীর এখন বাজার দর (শ্রেণি ভেদে) ৪০০-৫৫০ টাকা। গলদা চিংড়ি চাষ করে এবার সকল চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ। এভাবে চলতে থাকলে গলদা উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

গলদা চিংড়ীর বাজার দর নিন্মগামীর কথা স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, সাতক্ষীরায় ১১ হাজার ৬৩৮টি গলদা চিংড়ি ঘেরে ৬ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন গলদা উৎপাদন হয়েছে। তবে দামটা কম থাকায় চাষীরা লাভ করতে পারছে না।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ