হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:২৪

মুহাম্মদ আবু হেলাল

‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই’- মানুষকে মানবিক দিক থেকে জাগ্রত করার জন্য কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী এ কবিতাটি আজো মানুষের মুখে মুখে। বাবুই পাখিকে নিয়ে লেখা কবির স্বাধীনতার সুখ কবিতাটি আজো উদাহরণ হিসেবে মানুষ ব্যবহার করলেও হারিয়ে যেতে বসেছে সেই বাবুই পাখি আর বাবুই পাখির বাসা।

বাবুই পাখির বাসা আজ অনেকটা স্মৃতির অন্তরালের পথে। অথচ আজ থেকে ১০/১২ বছর আগেও গ্রামগঞ্জের তাল, নারিকেল ও সুপারি গাছে ব্যাপক বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়তো। বাবুই পাখির এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতো এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করতো।

ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামে দেখা যায় রাস্তার পাশে কিছু কিছু সুপারি ও তাল গাছের ডালে বাবুই পাখি বাসা বেঁধেছে। শোনা যাচ্ছে বাবুই পাখির ডাক। কালের বিবর্তনে এ রকম দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়ে না। গাছে ঝুড়ির মতো চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি দেশজোড়া। এ জন্য অনেকেই একে তাতি পাখি বলেও ডেকে থাকেন। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাসা দেখা যায়।

বাবুই পাখি সাধারণত তাল, খেজুর, নারিকেল, সুপারি ও আখ ক্ষেতে বাসা বাঁধে। ধান, চাল, গম ও পোকামাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার। বর্তমানে যেমন তাল জাতীয় গাছ হারিয়ে যাচ্ছে তেমন হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখিও।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত