পিরোজপুর ২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৯শ’ টন

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৫

সাহস ডেস্ক

পিরোজপুর জেলায় জাটকা ও ডিম ভরা ইলিশ শিকার বন্ধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থান নেয়ায় ২ বছরে ৯শ’ টন ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ হাজার ৩শ ৭৯ মে. টনে পৌঁছে যাওয়ায় এ জেলা এখন মৎস্য উদ্বৃত্ত জেলা।

পিরোজপুরের ৯টি নদ-নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে ৩শ ৮৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে ও নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে পরিচালিত এসব আদালত নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য মাছ শিকারের অপরাধে গত অর্থ বছরে ৪১.১০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫৭.৬০ লাখ মিটার জব্দ করে ভষ্মীভূত করে। এসব ৫ হাজার ৪শ’১৪ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয় এবং ২১ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেন জানান, এ জেলায় ২৪ হাজার ৬শ ৮০ জেলের মধ্যে ইতোমধেই ২০ হাজার ৮৭ জনকে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে এবং জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় ১৮২৫.৬৬ মে. টন চাল বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। 

জেলা মৎস্য অফিসের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭-২০১৮ ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৩শত ৮০ মে. টন যা ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ছিল ৩ হাজার ৪শ ৭৩ মে. টন। এছাড়া এ জেলায় মোট মাছের চাহিদা ২৪ হাজার ৩ শ ৭৪ মে. টন হলেও উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৩শ ৭৯ মে. টন। 

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা মৎস্য চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৪৬টি প্রদর্শনী খামার, বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া চাষ এবং কাকড়া চাষ এবং গভেষণা প্রকল্পে মোট প্রদর্শনী খামার সংখ্যা ৯টি। এছাড়া জলাশয়ে সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প সমন্বিত উপকূলীয় বনায়ন ও উপ বনায়ণ প্রকল্প ১২০টি প্রদর্শনী খামার থেকে মৎস্য চাষিরা হাতে কলমে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত