পূণ্য লাভের আশায় ‘যৌনতার পাহাড়’

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৩৬

সাহস ডেস্ক

দৈহিক চাহিদা নয়, পুণ্য অর্জনের কারণেই বহাল এই রীতি। ইন্দোনেশিয়ায় ‘যৌনতার পাহাড়ে’ ভিড় করেন অসংখ্য তীর্থযাত্রী। পাহাড়চূড়ায় পৌঁছে অপরিচিতের সঙ্গে অবাধ যৌনতায় মেতে ওঠেন পুণ্যার্থীরা।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট কেমুকাস বা গুনুং কেমুকাসের পরিচিতি যৌনতার পাহাড় নামে। সোলো শহর থেকে ২৮ কিমি দূরে স্রাগেন রিজেন্সির এই পাহাড়চূড়ার ওপরে রয়েছে সুবিখ্যাত এক জাভানিজ তীর্থক্ষেত্র। থিত, ৩৫ দিন অন্তর দুই অপরিচিত যুগল যৌনতায় লিপ্ত হলে তবেই পুণ্য অর্জন করা সম্ভব। 

প্রাচীন রীতি অনুসারে, পাহাড়ের ওপরে সামোদ্রো ও অনত্রোউলানের সমাধিতে প্রথমে ফুল অর্পণ করা হয়। তারপরে ঝর্নায় গোসল সেরে যৌন সঙ্গীর তালাশে বেরোনোই নিয়ম। ৩৫ দিন পর পর প্রতি শুক্রবার মোট ৭ বার পুণ্যকামী যুগলকে যৌন মিলনে রত হতে হয়। জাভানিয়ান ক্যালেন্ডার ভেটোনন সাইকেল অনুসারে মিলনের দিন ধার্য হয়। এর জন্য ইচ্ছুক যুগলের মধ্যে এক অলিখিত চুক্তি হয়, পরস্পরের মোবাইল নম্বর ইত্যাদি বিনিময় করে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই নিয়ম। পুণ্যার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ইন্দোনেশীয় ব্যবসায়ী, যারা সৌভাগ্য লাভের আশায় কেমুকাস পাহাড়ে হাজির হন। 

উল্লেখ্য, রাজকুমার প্যাঙ্গেরান সামোদ্রো তার সত্‍মা নিয়াই অনত্রোউলানের প্রেমে পড়েন। রাজরোষ থেকে বাঁচতে কেমুকাস পাহাড়ের ওপর আশ্রয় নেন যুগল। সেখানে তারা যৌন মিলনে মেতে ওঠেন। কিন্তু চরম শারীরিক তৃপ্তি লাভের সময় রাজার বাহিনী এসে তাদের ধরে ফেলে। তাদের হাতেই নিহত হয় প্রেমিক যুগল। স্থানীয় বিশ্বাস, পাহাড়চূড়ায় অপরিচিতের যৌন সঙ্গম করলে অশেষ পুণ্যলাভ করেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত