বিশ্বের ভয়ানক কিছু বিপর্যয়

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:০৮

সাহস ডেস্ক

সুনামির বিপর্যয়ের কাহিনী কারোই অজানা নয়, সেই স্মৃতি অনেকের মন থেকে এখনও মুছেও যায়নি। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার দম্ভকে ধূলিসাৎ করে এক নিমেষে তছনছ করে দিয়েছিল মানব সভ্যতাকে। সুনামির বিপর্যয়ের মতোই দুনিয়ায় এমন কতগুলো বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে মানব ইতিহাসে যা ছাপ রেখে গিয়েছে। সেগুলোই ফিরে দেখা গ্যালারির পাতায়।

দ্য ভাসা: ১০ আগস্ট ১৬২৮ সালে এই সুইডিশ যুদ্ধজাহাজ যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ডুবে যায়। ঘটনায় মারা যান ৩৫-৫০ জন নাবিকসহ জাহাজকর্মী।

চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা: ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত চেরনোবিল লিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে এই বিপর্যয় ঘটে। ওই প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তেজষ্কীয় পদার্থ বের হতে থাকে। হাওয়ার দাপটে তা ইউরোপের ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তেজষ্ক্রীয়তার জেরে ৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৪ হাজার মানুষ।

সেন্ট ফ্রান্সিস বাঁধের বন্যা: ১২ মার্চ ১৯২৮-এ বিপর্যয় ঘটে। উইলিয়াম মুলহোলান্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সেন্ট ফ্রান্সিস বাঁধ তৈরির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভেঙে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলসের উত্তর দিকের সান্টা ক্ল্যারিটা ভ্যালিতে নেমে আসে ১২৫০ কোটি গ্যালন পানির বন্যা। ১০ তলা সমান উঁচু পানির স্রোতে ভেসে যায় সান্টা ক্লারা নদী। ২০ ফুট কাদা-আবর্জনায় ডুবে যায় সান্টা পলা শহর। ভেনচুরা কাউন্টির ৭০ ফুট ডুবে যায়। ওই বিপর্যয়ে মারা যান ৪৫০ জন।

ক্লিভল্যান্ড ইস্ট ওহিও গ্যাস বিস্ফোরণ: ১৯৪৪ সালের ২০ অক্টোবর এই দুর্ঘটনায় মারা যান ১৩০ জন। ইস্ট ওহিও গ্যাস কোম্পানির গুদামের ৪ নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে দুপুরবেলায় গ্যাস লিক করতে থাকে। নর্দমার গ্যাস ও বাতাসের সংস্পর্শে আসামাত্রই হঠাৎই তাতে আগুন ধরে যায়। প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যে জোড়া বিস্ফোরণের জেরে ধূলিসাৎ হয়ে যায় ওই জায়গাসহ ক্লিভল্যান্ডের এক বর্গ মাইল এলাকা।

টাকোমা ওয়াশিংটন ব্রিজ: ১৬০০ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজের একটি পরিচিত ছিল গ্যালোপিং গার্টি নামে। ১৯৪০ সালের ১ জুলাই এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর চার মাস পরেই তা ভেঙে পড়ে। ক্যামেরাবন্দি সে দৃশ্যে দেখা যায়, হাওয়ার দাপটে রীতিমতো দুলছে সেই ব্রিজ। আশ্চর্যজনকভাবে ওই দুর্ঘটনায় একটি ব্ল্যাক ককার স্প্যানিয়েল কুকুর ছাড়া আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত