বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে গণকবর

প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৭, ১৫:১২

অনলাইন ডেস্ক

আমাদের কাছে কবরস্থান বা গোরস্থান নিয়ে একধরণের অজানা ভীতি কাজ করে। নির্জন রাস্তায় কবরস্থানের পাশে হাঁটতে গেলেই গা ছমছম করে ওঠে। সেখানে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে ৭০০০টি মৃত ব্যক্তির কবর রয়েছে। এত মৃত ব্যক্তির লাশ পাওয়া কবর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মিসিসিপি মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এসেছে এসব কবর। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এটিই বিশ্বের অন্যতম একটি ভুতুড়ে বিশবিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচেই একাধিক লাশের সমাধিস্থল রয়েছে।

একটি সমীক্ষা জানায়, আমেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে রয়েছে কয়েক হাজার লাশের সমাধি। একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণেই ছিল মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বেশ ভালোই চলছিল এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি। ১৮৫৫-১৮৭৭ সাল পর্যন্ত ১৩৭৬ রোগী ছিল এই চিকিৎসা কেন্দ্রে। 

কিন্তু একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে জানায়, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন করে ব্যক্তি মারা যেতেন। কয়েক দশক আগের এই ঘটনাটি সবার মন থেকে একটা সময় মুছেও গিয়েছিল। কিন্তু আচমকা তাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। আর এসব কবরের প্রভাব তাদের মধ্যেও পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকেই গত ২০১৩ সালে ৬৬টি কফিন উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেও আরও বেশ কিছু ভুতুড়ে কারবার হয়েছে এই বিল্ডিংটির পুনঃনির্মাণের সময়। তবে এখন এই সব লাশকে নিয়ে কী করা যেতে পারে? সেটির সমাধান সূত্র খুঁজছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসব লাশকে তুলে আবার নতুন করে কবর দেওয়ার খরচও বিপুল। তাই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এসব লাশকে নিয়ে একটি সংগ্রহশালা বানানো যেতে পারে। এর পাশাপাশিই ওই সব লাশের জামাকাপড় নিয়ে একটি আলাদা সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণভাবেই ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা হবে।