২০১৭ হবে বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের বছর: জিনপিং

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:০৬

সাহস ডেস্ক

সামাজিক-অর্থনৈতিকসহ সব খাতেই চীন ও বাংলাদেশ পরস্পর সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই দেশের নেতারা। 

আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন। 

২০১৭ সাল হবে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বের বছর, এমনই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।

শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি খুব খুশি ছয় বছর পর বাংলাদেশের মতো একটা সুন্দর দেশ সফর করতে পেরেছি। চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। আমি মনে করি, এই সফর সামগ্রিকভাবে দুই দেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’ 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে নানা চুক্তি সই হয়েছে। শি জিনপিং বলেন, কৌশলগত যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মোট ২৬টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য বিনিয়োগ, ব্লু ইকোনমি, রোড-ব্রিজ ও রেল এবং জ্বালানি বিষয়ে পৃথক কয়েকটি চুক্তি।

চীনের রাষ্ট্রপতি বলেন, দিন দিন দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে কয়েক মিনিট আগে আমাদের উভয়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা “একচীন নীতি”তে আমাদের জোরালো সমর্থন দিয়েছি। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসা ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ও কৃষি খাতে একযোগে কাজ করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এখানে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাক্ষী হলাম। এই চুক্তিগুলো হয়েছে ব্যবসা, বিনিয়োগ, সমুদ্র অর্থনীতি, বিসিআইএম-ইসি, সড়ক ও সেতু, রেলপথ, পাওয়ার, সমুদ্র, আইসিটি, শিল্প উৎপাদন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতার উন্নয়নসংক্রান্ত।’ 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা ছয়টি প্রকল্পও উদ্বোধন করেছি। এই চুক্তি ও প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পর দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া উচ্চপর্যায়ে পৌঁছাবে। আজকে আমরা ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এই কৌশলগত অংশীদারত্বের অধীনে আমরা দুই দেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক মধ্য আয়ের দেশ এবং পর্যায়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উপনীত হওয়া। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বঞ্চনামুক্ত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত