ঝালকাঠি বিএনপি অফিসে চেয়ার ছোড়াছুড়ি
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৩৫
ঝালকাঠি জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত কমিটির পদ বঞ্চিতরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জেলা কৃষকদলের সভাপতি রুস্তম আলী চাষি আহত হয়েছেন। এছাড়াও লাঞ্চিত করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল তালুকদারকে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, শহর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় মজুমদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শফিকুল ইসলাম লিটন ও শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল ফকির মিলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পিসহ অন্যদের কাছে জানতে চান জেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটিতে (প্রস্তাবিত) তাদের নাম নেই কেন। এসময় মেহেদী হাসান খান বাপ্পিসহ অন্যরা এর কোন সদুত্তার দিতে না পারায় প্রথমে সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল তালুকদারকে মারতে যান পদবঞ্চিতরা। উপস্থিত অন্যরা এতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম লিটন ও রুবেল ফকির মিলে চেঁয়ার ছুড়ে মারে এতে রুস্তম আলী চাষি আহত হন। মেহেদী হাসান খান বাপ্পি, নজরুল তালুকদারসহ অন্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে তাদের লাঞ্চিত করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘যাদের নাম প্রস্তাব করে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাক্ষর করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে তারা অনেকেই পদ পাওয়ার যোগ্য না। আমরা আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকি আমাদের নাম জেলা কমিটিতে নাই।’
এব্যাপারে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি বলেন, ‘জেলা কমিটি নিয়ে কিছু লোকজন অফিসের বাহিরে বাকবিতাণ্ডা করেছে। অফিসের মধ্যে কিছুই হয়নি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, আমি ঢাকা আছি, অফিসে কি হয়েছে তা জানি না।
কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। যারা দলের জন্য নিবেদিত ছিল তারাই কমিটিতে স্থান পাবে।