খোলা আকাশের নীচে লাফার্জের ৬ কোটি টাকার সিমেন্ট!

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৬

নুর উদ্দিন

ছাতকে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে খোলা আকাশের নীচে সিমেন্ট ডাম্পিং করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এসব সিমেন্ট মাসের পর মাস খোলা আকাশের নীচে থাকায় গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। ফলে এসব সিমেন্ট ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যভাগ থেকে এযাবত দীর্ঘ দু’মাসের অধিক সময় থেকে ছাতক শহরের পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন সুরমা নদীর পাড়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের দেড় লক্ষাধিক বস্তা সিমেন্ট ডাম্পিং করে রাখা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে বৃষ্টি হলে ডাম্পিং সাইটের কিছু সিমেন্ট পানিতে ভিজে যায়। এছাড়া সিমেন্টের বস্তার নীচে দেওয়া হয়েছে হালকা পলিথিন। আবার কোথাও পলিথিন ছাড়াই সিমেন্ট মাঠিতে রাখা হয়েছে। এভাবে খোলা আকাশের নীচে সিমেন্ট রাখায় বাতাস, ঘনকুয়াশা ও বৃষ্টির পানিতে ভিজে সিমেন্টের গুনগতমান নষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন ভারী যানবাহন দিয়ে এসব সিমেন্ট সিলেট বিভাগসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর ক্রেতারা এসব নষ্ট সিমেন্ট দিয়ে দালান-বিল্ডিং নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এতে অবকাঠামোর স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয় রয়েছে।

একটি সূত্রে জানা যায়, সিমেন্ট উৎপাদনের পর গুনগতমান ঠিক রাখতে নীচে কাঠ অথবা ইট দিয়ে সিমেন্ট গুদামজাত করতে হয়। কিন্তু এখানে খোলা আকাশের নীচে সামান্য পলিথিন দিয়ে ডাম্পিং করে রাখায় এসব সিমেন্ট নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। নির্মাণ ত্রুটির অন্যতম একটি দিক হতে পারে এসব নষ্ট সিমেন্ট।

এব্যাপারে সিমেন্ট ডাম্পিং সাইডের লোড-আনলোডিংয়ের লেবার সর্দার পিন্টু জানান, সুরমা নদীর পাড়ে দেড় লক্ষাধিক বস্তা সিমেন্ট তেরপাল দিয়ে ডেকে ঢেকে ডাম্পিং করে রাখা হয়েছে। কয়েক দিন আগে কিছু সিমেন্ট বৃষ্টিতে ভিজে যায়। ডাম্পিং সাইডের যেদিকে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে সেদিকের বস্তা সরানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি।

লাফার্জের (টিএসএম) তানভীর রহমান খোলা আকাশের নীচে সিমেন্ট ডাম্পিং করে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট ডিলারের সাথে কথা বলে এব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সমরেন্দ্র তালুকদার জানান, খোলা আকাশের নীচে পলিথিন দিয়ে ডাম্পিং করে সিমেন্ট রাখলে এসব সিমেন্ট নষ্ট হতে পারে।

লাফার্জের কমিউনিটি রিলেশন্স অফিসার সাব্বির হোসেন বলেন, সুরম নদীর পারে সিমেন্ট ডাম্পিংয়ের ব্যাপারে তার জানা নেই। তবে এগুলো ডিলারের কাছে তাদের বিক্রিত সিমেন্ট হতে পারে। তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে এসব সিমেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত