নূরুল হুদার নাম প্রস্তাব করেছিল ন্যাপ

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১০:১৩

সাহস ডেস্ক

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে খান মোহাম্মদ নূরুল হুদার নাম সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর)।

অন্যন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবিত তালিকাও কমিশনার হিসেবে নাম ছিল সাবেক এই সচিবের। জাতীয় পার্টির ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রস্তাবিত তালিকায়ও তাঁর নাম ছিল।

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সাবেক সচিব খান মোহাম্মদ নূরুল হুদা ১৯৭৩ ব্যাচের প্রশাসনিক ক্যাডার। তিনি বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফরিদপুরে। দীর্ঘদিন ওএসডি থাকার পর ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে তিনি।

নূরুল হুদার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জেলা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

সিইসি হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ঈমাম মজুমদারের নামও প্রস্তাব করেছিলো সার্চ কমিটি। ২০০৮ সালে তিনি অবসরে যান। সিইসি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)।

অপরদিকে সদ্য নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল।

আজ সোমবার রাতে সচিবালয়ে নবগঠিত ইসির নামের তালিকা প্রকাশ করার সময় শফিউল আলম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি জানান, ‘একেকটি নাম অনেকগুলো দলের কাছ থেকে এসেছে। নামগুলো প্রায় কমন। ১২৮টি নামের মধ্যে এই নামগুলো এসেছে।’

তবে সিইসি হিসেবে যে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিল সার্চ কমিটি, তাঁদের নাম বড় দুটি দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) কেউ প্রস্তাব করেনি বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির প্রস্তাবনার ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার এবং স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদের নাম বিএনপির কাছ থেকে এসেছিল। এর মধ্যে মাহবুব তালুকদারকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।’ 

‘অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রস্তাব করেছিল রাজশাহীর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নানের নাম। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি কবিতা খানমকে নিয়োগ দিয়েছেন।’
 
তবে তাঁদের নামে ‘কালার’ দেওয়া ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দিলেও নামগুলো কিন্তু নির্দলীয় হিসেবে এসেছে।’ 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত