রামগতিতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানে ‘স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণের দাবি

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৬

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর ১৯৭২ এর ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বাহিরে প্রথম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ওড়া-কোদাল নিয়ে মাটি কেটে চরের মধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে প্রথম জনসমাবেশ করেন এবং জনগণকে দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমনের পর থেকে উক্ত স্থানটি স্থানীয়ভাবে ‘শেখের কিল্লা’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। উক্ত স্থানটি রামগতি-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত হলেও এখানে কোন স্মৃতি চিহ্ন বা স্তম্ভ না থাকায় নতুন প্রজন্ম উক্ত স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারছে না। অতিসম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ‘ড্রপ’ স্থানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ধরে রাখার লক্ষ্যে ‘শেখের কিল্লা’ স্তম্ভ নির্মাণ করে। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর একটি মাইল ফলক নির্মাণ করেছে যা সকলের সৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

এদিকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পদধুলিত রামগতির পোড়াগাছায় ৬০০ একর খাস জমিতে ২১০টি নদী ভাঙ্গা পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য দেশের প্রথম ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থান রামগতি উপজেলার পোড়াগাছার ‘শেখের কিল্লা’ নামক স্থানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এখানে একটি আকর্ষনীয় স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা জরুরী বলে মনে করছে উপকূলীয় রামগতিবাসী। পাশাপাশি জাতির পিতার পরিদর্শীত ও দেশের প্রথম পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রামটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নও জরুরী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত