পাবনার শতভাগ বিদ্যালয়ে আছে শহিদ মিনার
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:১৮
বাংলা ভাষা ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে পাবনা জেলার শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো। এর মাধ্যমে সারাদেশের মধ্যে প্রথম কোনো একটি জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হলো।
রেখা রানী বালো জানান, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার থাকার কথা। কিন্তু জেলার নয়টি উপজেলার ১ হাজার ৭০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার ছিল। দায়িত্ব নেবার পর প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনে চিঠি দেন। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নতুন করে ১ হাজার ৪৪৮টি শহিদ মিনার নির্মান করা হয়।
জেলা প্রশাসকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, পাবনা জেলা সদরে ৩০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪টি, ফরিদপুরে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি, চাটমোহরে ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টি, আটঘরিয়ায় ১৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টি, বেড়ায় ১৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি, সাঁথিয়ায় ২৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি, সুজানগরে ২০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টি, ঈশ^রদীতে ১৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৭টি ও ভাঙ্গুড়ায় ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ছিল। বর্তমানে শতভাগ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে।
কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, পরিচালনা পরিষদ প্রধান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করেন। এতে সারা দিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব খরচে শহিদ মিনার তৈরি করেন।