প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন এমপিদের চিঠি

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:১৯

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার বিষয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতাদের আইনসম্মত কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে অভিযুক্ত করার প্রবণতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ১১ জন আইনপ্রণেতা। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কারাবন্দি শ্রমিকদের নেতাদের মুক্তি ও শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান। 

স্বাক্ষরকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন কংগ্রেসম্যান জ্যান স্কাভোস্কি, স্যান্ডার লেভিন, বিল পাসক্রেল ও ববি স্কট। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অপর কংগ্রেসম্যানরা হলেন জেমস পি. ম্যাকগভার্ন, মার্ক পোকান, উইলিয়াম কিয়াটিং, জ্যাকি স্পেইয়ার, জোসেফ ক্রাউলি ও স্টিভ কোহেন।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, আমরা উন্নতির (শ্রম অধিকার) পিছিয়ে পড়া এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কারাবন্দি শ্রমিক নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, সব আটক শ্রমিক নেতাদের বিষয়ে দ্রুত জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও আনীত অভিযোগ পর্যালোচনার আহ্বান জানাচ্ছি। ভুল কারণে আটকদের দ্রুত মুক্তি ও সব ধরনের ভিত্তিহীন ও অপ্রমাণিত অভিযোগ প্রত্যাহারে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কংগ্রেসম্যান স্কাভোস্কির বিবৃতিতে দাবি করেন, বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের ভুলুণ্ঠিত করা হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ৩২ সেন্ট (প্রায় ২৫ টাকা) করার দাবিতে আন্দোলন করায় ১ হাজার ৬০ গার্মেন্ট শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১০০ শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়ছে। মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলছেন, ভুল পথে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার পরিচালিত হওয়ার কারণে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা সরকারের নীতি ও অনুশীলনে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘণের বিষয় সঠিক পথে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ওয়াল-মার্ট, ভিএফ কর্পোরেশন, টার্গেট, বার্কশায়ার হাথাওয়ে, কার্টারস, সিয়ার্স হোল্ডিং কর্পোরেশন, পিভিএইচ, গ্যাপ, আইএনসি, জেসি পেনেই কোম্পানি ও কোহল-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত