সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী কাটাখালী খাল দখলমুক্ত শীঘ্রই

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০১৭, ১৯:১৯

সোহাগ লুৎফুল কবির

সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী কাটাখালী খাল এক সময়কার প্রবাহমান ও দৃষ্টিনন্দন ছিল। প্রবাহ হারিয়ে খালটি বিষন্ন হয়ে পড়েছে। কাটাখালীকে আটকে দিয়েছে পভাবশালী মাছ চাষিরা।

এ খালের ২০টি স্থানের বেশি জায়গায় বাঁশ, জাল, মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে তারা মাছ চাষ করছেন। বাঁধ দেওয়ায় পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যেসব স্থানে মাছ চাষ হচ্ছে না সেখানে কচুরিপানা আর জলজ উদ্ভিদে উপরিভাগ আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শহরের বড় বাজার, ফজল খাঁন রোড, কাঠেরপুলসহ অনেক জায়গায় ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। সেখানে ভাগাড়ের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

উপরস্ত খালের পাড় ভরাট করে দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংক পাড়ায় খালের পাড়ে মাটি ফেলে একাধিক বহুতল পাকা বাড়িও নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে ক্রমশঃ সংকীর্ণ হয়ে আসছে
খালের প্রস্থ।

কাটাখালী সিরাজগঞ্জ শহরের পুরাতন জেলখানার (বর্তমান শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট) কাছে যমুনা নদী থেকে বের হয়ে শহরের কালীবাড়ি, পিটিআই, সরকারি কলেজ পর্যন্ত এসে দু’ভাগ হয়েছে। এক শাখা গেছে শহীদ সোওয়ায়ার্দী রোড হয়ে শাহজাদপুরের হুরাসাগরের দিকে। এই অংশেই ইলিয়াট ব্রিজ। অন্য শাখা ভাঙ্গাবাড়ি বাহিরগোলা হয়ে তেলকুপি দিয়ে নলকায় গিয়ে মিশেছে করতোয়া নদীতে।

এই অংশে আছে ব্রিটিশ আমলের রেল সেতু। প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, কাটাখালী এক সময় শহরের একটি ব্যাস্ত নৌপথ হিসেবে ব্যবহার হতো। লঞ্চ, গয়নার নৌকা ও মালবাহী বড় নৌকা এই নদী দিয়ে সিরাজগঞ্জ বন্দরে যাতায়াত করতো।

সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় এই কাটাখালী খালটি দখল ও দূষণমুক্ত করতে শীঘ্রই হাতে নেওয়া হয়েছে সৌন্দর্য বর্ধন তথা জনগণের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এটিকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা।

ইতোমধ্যে পৌর এলাকার কাঠেরপুল, বাহিরগোলা, পিটিআই সড়কসহ বিভিন্নস্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং কাটাখালীর দুই পাশ থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের এম,পি অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, এ খালটি সিরাজগঞ্জ শহরবাসীর প্রাণ। এটি রক্ষার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত