ধর্ষিত রোহিঙ্গাদের তোপের মুখে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল

মিয়ানমার সামরিক জান্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে বালুখালী বস্তিতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন মিয়ানমার কমিশন।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বালুখালী বস্তিতে পৌঁছে সেখানে আইওএম নির্মিত গোলঘরে রুদ্ধদ্বার কক্ষে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল গোলঘর থেকে বেরিয়ে এসে বালুখালী বস্তি ত্যাগ করেন।

এসময় বৈঠকে উপস্থিত বি-ব্লকের জোবাইর, আবুল ফয়েজ ও সাদেক মাঝি মিয়ানমার কমিশনের উদ্বৃতি দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তারা মিয়ানমার কমিশনের প্রশ্নের জবাবে সেদেশের সেনা সদস্য কর্তৃক রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণ, নির্বিচারে হত্যা, শিশুদের পুড়িয়ে মারা, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া সহ রোহিঙ্গাদের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উত্থাপন করলে মিয়ানমার কমিশন তা সরাসরি অস্বীকার করে তারা বুঝাতে চেয়েছেন, রোহিঙ্গারা উস্কানি দিচ্ছে।

বালুখালী বস্তির লালূ মাঝি জানান, মিয়ানমারে মংডুর খেয়ারিপ্রাং গ্রামের ধর্ষিতা আমিনা খাতুন (২২) মর্জিয়া বেগম (২৪), সাবিয়া খাতুন (২৬) গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ (২৩) ও নুর মোহাম্মদ (২২) সহ প্রায় ১০/১২ জন ধর্ষিতা ও গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নর-নারী তাদের বিভৎস ঘটনার বর্ণনা দেন।

মিয়ানমার কমিশন রোহিঙ্গাদের এসব অভিযোগ শুনলেও এর কোন প্রতিকার বা সুষ্ঠু সমাধানের সঠিক সিদ্ধান্তের আশ্বস্ত করেনি। উপরোন্তু রোহিঙ্গাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসময় আইওএমসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা কমিশনের পক্ষে যেসব নেতৃবৃন্দ বালুখালী বস্তি পরিদর্শন করেছেন তৎমধ্যে জ্যং মিন্ট পে, ত্যং তুই থেট, তুন মায়ার্ট, নিয়াট সোয়ে, থেট থেট ঝিন, নিয়ান নাই ম্যান।

এর আগে রবিবার মিয়ানমার কমিশন কুতুপালং বস্তি পরিদর্শন করতে গেলে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।