তাড়াশে ব্রিজ আছে সড়ক নাই

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৭, ২০:০৬

সোহাগ লুৎফুল কবির

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজগুলো কোনো কাজে আসছে না সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। গত ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মিত ব্রিজগুলোর সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বদলে বেড়েছে দ্বিগুণ।

গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্মিত ব্রিজগুলোর সংযোগ সড়ক না করেই এরইমধ্যে টাকা তুলে নিয়েছেন বেশির ভাগ ঠিকাদাররা। আর ঠিকাদারদের এসব অনৈতিক কাজে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গ্রামীণ রাস্তায় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর। বেশির ভাগ জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। বরং যে সব স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে সে সব এলাকার জনগণ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।

উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কামারশোন গ্রামে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪০ ফুট দীর্ঘ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করছে। ব্রিজে উঠার মত কোন রাস্তা নেই।

অপরদিকে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এ উপজেলায় ৫টি ব্রিজ নির্মাণ করেছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থে। আর সকল ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও আজও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে বাধ্য হয়ে ব্রিজের নিচ দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তবে সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও কাজ না করেই ব্রিজ নির্মাণের পুরো টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তাড়াশ উপজেলায় ৭টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। সগুনা ইউনিয়নের প্রতিরামপুর খালের ওপর ৩০ ফুট দৈর্ঘেরে ব্রিজ, সান্দুরিয়া বাজারের সামনে ৪০ ফুট, ধাপতেুলিয়া ২০ ফুট, দিঘী সগুনা ২৬ ফুট ও তালম ইউনিয়নের বড়ইচড়া খালের ওপর ১৬ ফুট এবং বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারী গ্রামে খালের ওপর ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ চলছে। এরমধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করার অভিযোগের পাশাপাশি ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ:দ:) মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এ উপজেলায় কি হয়েছে তা জানা নেই। বর্তমানে যে ব্রিজগুলো হচ্ছে সেগুলো আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। তারপরেও সঠিকভাবে তদারকি করছি। তাছাড়া এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিল আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত