ছাত্রলীগের অনুমতি না নিয়ে ‘সহায়তা’ তোলায় শিক্ষার্থীকে মারধর

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৭, ১৭:০১

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর জন্য সহায়তা তোলার জন্য ছাত্রলীগের অনুমতি না নেওয়ায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রুবাইয়াত ইসলাম অভি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ঘটনায় অভিযুক্ত বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী তাওশিক তাজ বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে অপহরণে যুক্ত থাকার দায়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার হয় তাওশিক তাজ। বহিস্কৃত হলেও রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে সব ধরনের মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায় তাকে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে রাজধানীর ইসলামিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য বুধবার সন্ধ্যা থেকে শের-ই-বাংলা হলে মানবিক সাহায্যের আবেদন নিয়ে হলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে সাহায্য তুলছিল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ৮/১০ জন শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা হলের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে গেলে, তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত কর্মী তাওশিক তাজ ও তার কয়েকজন অনুসারী। তারা সাহায্য তোলায় নেতৃত্ব দেওয়া অভির কাছে জানতে চাই- ‘কার অনুমতিতে তারা হলে সাহায্য তুলছে? কেনো ছাত্রলীগের অনুমতি নেয়া হয় নি এবং ছাত্রলীগ কর্মী তাজকে কেনো চেনে না?’ এসময় প্রায় ঘন্টাব্যাপী একটি কক্ষে বসিয়ে অভির শরীরে বিভিন্ন স্থানে পেন্সিল দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। জঙ্গি বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করেন অভি। পরে বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে অভিকে ছাড়িয়ে আনেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী (বহিস্কৃত) তাওশিক তাজ বলেন, ‘তারা হলে কার অনুমতিতে সাহায্য তুলছে, সেটা আমি জানতে চেয়েছি। ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়েছে কিনা, এমন কোনো প্রশ্ন তাদেরকে করা হয় নি। তাদেরকে আমি মারধরও করিনি, ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা মীমাংসা হয়ে গেছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত