রাজশাহীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ১০:১২

ফাইল ফটো

রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকাসহ সন্দেহভাজন এক ‘জঙ্গিকে’ আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে বাড়িটি থেকে বের করে আনা হয়।

এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৮ তলা ওই ভবনটি ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। পরে কোনো বাঁধা ছাড়াই পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভবনের সামনের সড়কে একটি অ্যাম্বুলেন্সও এনে রাখা হয়। তবে সেখানে কোনো গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করার পর সব ফ্ল্যাটের বাতি নিভিয়ে দেয়া হয়। এরপর ভবনটির সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিকে আটক করা হয়। ওই ফ্ল্যাট থেকে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রাখার পর সেখানে গণমাধ্যমকর্মী এবং বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। ওই ভবনটির পাশের আরেকটি ভবনেই থাকেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনিও ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন।

এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে আটক ব্যক্তিকে ভবনের প্রধান ফটক দিয়ে বের করে আনে পুলিশ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে পুলিশ তাকে আবার ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর প্রধান ফটকের সামনে একটি মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে রেখে আটক ব্যক্তিকে ভবনের গ্যারেজ দিয়ে কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাইভেটকারটি আটক ব্যক্তির বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আটক ব্যক্তিকে ভবনের সামনে আনার সময় দেখা যায়, ওই ব্যক্তি সাদা রঙের একটি পাঞ্জাবি পরে ছিল। তার মুখে ছোট ছোট দাড়ি ছিল। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-কমিশনার একেএম নাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জঙ্গি সন্দেহে ওই বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়। এরপর জঙ্গি সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের আস্তানায় যে ধরনের আলামত পাওয়া যায়, তা সেখানে পাওয়া যায়নি।

বাড়িওয়ালা অহিদুল ইসলাম বাচ্চুর বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় চার মাস আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন। বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় তিনি তথ্য ফরমও পূরণ করেননি। ফ্ল্যাটে তিনি তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকতেন।

নাহিদুল ইসলাম জানান, আটক ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িওয়ালার জিম্মায় রাখা হয়েছে। আর আটক ব্যক্তির নাম ঠিকানা পরে জানানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত