বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, কোস্টগার্ডের ২ সদস্য নিহত

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৫২

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনার আমতলী উপজেলায় বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের আরোহী ফুয়াদ হোসাইন (২৩) ও আবদুস সাদেক (৩০) নামে দুই কোস্টগার্ড সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন এনামুল হক (৩০) নামে আরেক কোস্টগার্ড সদস্য। ওই তিনজনই নৌবাহিনী থেকে প্রেষণে কোস্টগার্ডে পটুয়াখালীতে কর্মরত ছিলেন।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে আমতলী উপজেলার বান্দ্রা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত এনামুল হক (৩০)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে মোটরসাইকেলে করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার দিকে যাচ্ছিলেন ওই তিনজন। তারা আমতলীর বান্দ্রা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ‘আল্লাহর দান’ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফুয়াদ হোসাইন ও আবদুস সাদেককে মৃত ঘোষণা করেন।

আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল খালেক জানান, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমতলী থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ফুয়াদ ও সাদেকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার শিকার বাসটি আমতলী থানায় রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় বাসের চালককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মো. এনামুল হকের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. ইউসুফ আলী। নিহত আবদুস সাদেকর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. নাজিম উদ্দিন। আর মো. ফুয়াদ হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. আবদুল হক।