পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৩

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নাজমুল আহসানকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার শ্যালক।

সোমবার সকাল ১১টায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামে নিহতের শ্বশুর আঃ রহমান সর্দারের বাড়িতে এহত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার শাপলেজা গ্রামের আয়নাল খান এর পুত্র ও পৌর শহরের গয়ালীপারার বাসিন্দা।

নিহত নাজমুলের প্রথম স্ত্রী তিন সন্তানের জননী হোসনেয়ারা বেগম জানান, ২০০৫ সালে স্বামী নামজুল তার অনুমতি ছাড়া ঝালকাঠীর জেলার পোণাবুনিয়া গ্রামে লাইজু (২৫) নামের এক যুবতীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে স্বামী নাজমুল দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নেয়ার জন্য আমাকে চাপ দেয়। এতে আমি ও আমার পরিবার বাঁধা দিলে গত ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ নামজুল ও তার ভাড়া করা ডাকাত ওয়াহেদ আমার বড় ভাই শাহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় নিহত শাহীনের স্ত্রী চার সন্তানের জননী কাজল বাদী হয়ে নাজমুলকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় নাজমুল দীর্ঘদিন হাজত বাস করে জামিনে বের হয়। ওই হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

হত্যামামলাটি তুলে নেয়ার জন্য নাজমুল চাপ দিলে সমঝোতা জন্য দুই পরিবারের লোকজন আজ সোমবার নাজমুলের শ্বশুর আব্দুল রহমান সর্দারের বাড়ি বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়। এসময় নিহত শাহীনের স্ত্রী কাজলের সাথে নাজমুলের বাক-বিতাণ্ডা হয়। এক পর্যায় শাহীনের ছোট ভাই তুহিন (২৪), শাহীনের কলেজ পড়ুয়া পুত্র হাসিব (২০) ও ভাড়া করা আরও দুজন এলোপাথারি কুপিয়ে নাজমুলকে গুরুতর আহত করে। এসময় স্বামীকে বাচাতে এলে হোসনেয়ারা (৪৫) আহত হয়।

পরিবারের স্বজনরা গুরুতর আহত নাজমুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঠবাড়িয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত