আজ কল্যাণপুর গণহত্যা দিবস

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:৩৩

আনোয়ার কামাল

২৮ এপ্রিল কল্যাণপুর গণহত্যা দিবস। ঢাকার ভেতর কল্যাণপুর মিরপুর থানার এক ঐতিহাসিক জনপদ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল কল্যাণপুরে যে গণহত্যা হয়েছিল, শত শত মানুষকে নিমিষে পশুর মত জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল তা ইতিহাসের কোথাও তেমনভাবে উজ্জ্বলতা না পেলেও কল্যাণপুরবাসী তাদের হৃদয়ের গভীরে জিইয়ে রেখেছে এ দিনটিকে। কল্যাণপুরের এই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের তেমন কোথাও তার বিষদ বিবরণ জনসমুখ্যে উজ্জ্বলতা পায়নি। এমনকি কল্যাণপুর গণহত্যা ইতিহাসে অনেকটা অনুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। আজো কল্যাণপুরের অনেক নাম না জানা স্বজন হারানো স্বজনেরা বুকে পাথর বেধে শেষ বিচারের আশায় প্রহর গুনছেন। এখানে যে সব পরিবার এ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে সবাই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো না। অনেকেই ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তাছাড়া হত্যাযজ্ঞের দিন অনেককে ধাওয়া করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল কল্যাণপুরবাসীর জন্য বিভীষিকাময় দুঃসহ যন্ত্রণা আর হৃদয় ছেড়া কষ্টের এক সাতকাহন। আগের দিন রাতে অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল কল্যাণপুরবাসীরা দুটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিল। যুদ্ধের ভেতর এধরনের গুলির শব্দ তাদের ভীত করেছিলতো বটেই, তার উপর এক অজানা আশঙ্কা দানা বেধেছিল। এর আগে প্রায় প্রতি রাতেই বিহারী ও বাঙালি দালালদের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে এনে কল্যাণপুর ব্রিজের উপর থেকে গুলি করে নিচে পানিতে ফেলে দিত। তখন ব্রিজের নিচের খালটি সবসময় পানিতে ভরে থাকতো। খালটি সে সময় বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযোগ ছিল। লাশগুলো খালের পানিতে ভাসতে ভাসতে একসময় বুড়িগঙ্গা নদীতে চলে যেত। ২৮ এপ্রিল ভোর বেলা থেকেই কল্যাণপুরবাসীরা মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থেকে আগত উর্দুভাষী অবাঙালি যাদের বিহারী বলা হতো তারাসহ এদেশের কিছু দোসররা হায়েনার মত নরমানুষের রক্ত পিপাসায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। তাদের মানবতাবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিহারীরা কল্যাণপুরের বাঙালি নিধনে তাদের ঘর-বাড়ি লুট-পাট, অগ্নি সংযোগ, হত্যা ও নারী নির্যাতন চালিয়েছিল। এ গণহত্যাকে ‘কল্যাণপুর গণহত্যা’ বলা হলেও এর বিস্তৃতি ছিল পাইকপাড়া, পীরেরবাগ, আহম্মদনগর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, গাবতলী থেকে গৈদ্দার টেক পর্যন্ত। কারণ, বিহারীরা একদিকে মিরপুর থেকে বাঙালি নিধন করতে করতে পাইকপাড়া-পীরেরবাগ হয়ে কল্যাণপুরে চলে আসে অপর দিকে মোহাম্মদপুরের আসাদগেট থেকে অন্য একটি গ্রুপ হত্যাযজ্ঞ চালাতে চালাতে কল্যাণপুরে ঢুকে পড়ে। তারা রড, লাঠি, সড়কি, তলোয়ার ,কুড়াল, বল্লম, চাপাতি ও বন্দুক হাতে  ধেয়ে আসে। হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লুটপাট করে, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দিয়ে শত শত নারী পুরুষ শিশুদের জবাই করে হত্যা করে। 

১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্ত হওয়ার সময় সংঘটিত দাঙ্গায় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে কিছু সংখ্যক লোক পূর্ব পাকিস্তানে মোহাজের হিসেবে বসবাস শুরু করে। তাদের মধ্যে উর্দুভাষীদের ভারতের বিহার রাজ্য থেকে আগতদের সংখ্যাই ছিল বেশি। এ কারণেই তারা এদেশে বিহারী নামেই পরিচিতি পায়। এসব বিহারীরা দেশের বিভিন্ন শিল্প কল-কারখানাসহ জনবহুল এলাকায় বসবাস শুরু করে। তবে ঢাকায় তারা মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছিল। মিরপুর এবং মোহাম্মদপুর ছিল অবাঙালি অধ্যুষিত জনপদ। এসব বিহারীরা একাত্তরে সরাসরি পাকবাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদরদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তবে তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক ছিল যারা প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের পক্ষাবলম্বন করেনি।

২৮ এপ্রিল বিহারীরা কল্যাণপুরে ঢুকে প্রথমেই খোঁজ করতে থাকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। বিশেষ করে তারা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হায়দার আলীকে হণ্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। কিন্তু সেদিন তিনি রাস্তার ম্যানহোলের মধ্যে আত্মগোপন করে নিজের জীবন রক্ষা করতে পেরেছিলেন। পরে তিনি হত্যাযজ্ঞে নিহত আহসান উল্লাহ চৌধুরীর লাশ সহ আহতদের নেওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরদিন সকালে আবার কল্যাণপুরে ফিরে আসেন। সেদিন প্রায় শতাধিক পুরুষ মানুষ সবাই দৌঁড়ে কল্যাণপুর জামে মসজিদের মধ্যে ঢুকে আত্মগোপন করে প্রাণে বেঁচেছিলেন।  

এই কণ্যাণপুর গণহত্যায় প্রথম উদ্ধারকারী হিসাবে যার নাম না বললেই নয়, তিনি হলেন বিশিষ্ট দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে ২৮ এপ্রিল বিকেলে রেডক্রসের একটি এ্যাম্বুলেন্সসহ কল্যাণপুরে এসে মারাত্মক আহতদের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা পাওয়া অনেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও পাক হানাদারদের হাত থেকে তিনি ও তাঁর পুত্র বাঁচতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকসেনারা এ দানবীরসহ তার বড় পুত্রকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আর ফিরে আসেননি। কল্যাণপুরবাসী ২৮ এপ্রিলের হতাহতদের উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আজো তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।   

কল্যাণপুরে তখন হাতে গোনা কয়েকটি পাকা বাড়ি ছিল। কল্যাণপুরের উত্তরদিকে সে সময় কোন রাস্তা ছিল না। ছিল শুধু ধানক্ষেত আর জঙ্গল। সেই বিভীষিকাময় দিনে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, শত শত বাঙালির লাশ পড়ে ছিল যত্রতত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে মনে হচ্ছিল বর্ণনায় জানা সেই কারবালার প্রান্তর। বেশিরভাগ লোককেই জবাই করে হত্যা করা হয়। অন্যদের বর্শা ও শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং বড় ছোরা দিয়ে পশুর মত জবাই করে হত্যা করা হয়েছে নিরীহ বাঙালিকে। কারো ধড় থেকে মাথা আলাদা করা হয়েছে। কারো হাত-পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা ফেলা হয়। কারো ঘাড় মটকানো, কারো কারো মাথা থেতলে হত্যা করা হয়।

কল্যাণপুরে সে সময়কার বসবাসকারীদের মধ্যে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে আজো যারা বেঁচে আছেন তাঁদের অনেকে এখনো হারিয়ে যাওয়া আত্মার আত্মীয়দের অমর স্মৃতি বুকে নিয়ে এখানে বসবাস করছেন। অনেকের সামর্থ্য থাকলেও পিতা-মাতার সেই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অট্ট্রালিকা গড়ে তুলেলনি। স্মৃতির মণিকোঠায় সেই টিনের ঘরই রেখেছেন। তাদের সাথে কথা বলে সেদিনের সেই বিভীষিকাময় কয়েক ঘন্টার পৈশাচিক তা-বসহ হত্যালীলার বর্ণনা শুনে শিউরে উঠতে হয়। সেদিন যাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে যাঁদের নাম এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে তাঁরা হলেন: তৎকালীন ডেইলী পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার প্রেস ম্যানেজার আহসান উল্লাহ চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (প্রতিবন্ধী বোবা ছিলেন), আবুবকর, সাইফুদ্দিন খান বাবু, তালেব আলী, ডা. মোহাম্মদ হাসেম,  এসিআই কোম্পানীর কর্মকর্তা সিরাজুল হক চৌধুরী,  জুট বোর্ডের এসিসটেন্ট ডাইরেক্টর এ আই এ আলাউদ্দিন, ইউনাইটেড ব্যাংক কর্মকর্তা এ জেড এম জাকির উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নেছার আহমেদ ভূঁইয়া, ডা. মোহাম্মদ হাসেম, সাইফুদ্দিন খান বাবু, আব্দুল আওয়াল, মোশারফ হোসেন মশু, শামসুদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, আব্দুল হাকিম, মো. আলী, তালেব আলী, করম আলী, নূরু মিয়া, নূরুল ইসলাম, চাঁন মিয়া, মো. কালু মিয়া, মো. মোকছেদ আলী, আলী হোসেন, আব্দুল আজিজসহ  নাম না জানা শতাধিক মানুষ। তাঁদের বেশিরভাগের নাম ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। কারণ, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থেকে যখন বিহারীরা বাঙালিদের ধাওয়া করে তখন অনেকেই প্রাণ ভয়ে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটাছুটির এক পর্যায়ে পাইকপাড়া, পীরেরবাগ, আহম্মদনগর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, গাবতলী থেকে গৈদ্দার টেক পর্যন্ত বসবাসকারী বাঙালিরা এই কল্যাণপুরের জনবসতিতে আশ্রয় নেয়। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসায় তাদের নাম ঠিকানা আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে।

স্বাধীনতার পর ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে স্থানীয় ‘অনুশীলন সংসদ’ প্রথম বারের মত ‘শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করে। অনুশীলন সংসদের সাথে এ মহতী উদ্যোগে সামিল হয় ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী-কল্যাণপুর শাখা’। সে বছরই প্রথম বারের মত সাধারণের কাছে উন্মোচিত হয় ‘কল্যাণপুর গণহত্যা’র বিভিষীকাময় লোমহর্ষক কাহিনী। উদীচী ও অনুশীলন সংসদের উদ্যোগে সে বছর কল্যাণপুর শহীদ মিনারে গণহত্যা স্মরণে ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ম.হামিদ, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, মুক্তিযুদ্ধে মিরপুরের মামা বাহিনীর কমান্ডার শহীদুল হক মামা, শহীদ পরিবারের সদস্য-যুগ্ম সচিব আজিম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, উদীচীর ঢাকা মহনগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী আকবর টাবী প্রমুখ। আলোচনা সভার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ঠিক পরের বছর ২০১১ সালে আরো ব্যাপকভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ‘অনুশীলন সংসদ’ ও ‘উদীচী- কল্যাণপুর শাখা’ সংগঠন দুটি যৌথভাবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, প্রখ্যাত চলচিত্র পরিচালক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাপ্তাহিক একতা পত্রিকার সম্পাদক আফরোজান নাহার, ভাস্কর্যশিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, উদীচী কেন্দ্রিয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আলম, নগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, অনুশীলন সংসদের সধারণ সম্পাদক সাহাদত হোসেন লিটন প্রমুখ। সন্ধায় উদীচী কল্যাণপুর, মিরপুর ও পল্লবী শাখা সঙ্গীত পরিবেশন করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীদের বিবরণ নিয়ে উদীচী কল্যাণপুর শাখার সহযোগিতায় আলী আকবর টাবীর সম্পাদনায় কল্যাণপুর গণহত্যা নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। পরিশেষে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ কর্তৃক গীতিনাট্য ‘ইতিহাস কথা কও’ পরিবেশন করা হয়। শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর উদীচী কল্যাণপুর শাখা দিবসটি  পালন করে আসছে।

সেদিনের স্বজন হারানোর মধ্যে যারা আজও বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে ডা. হাশেমের পুত্র উদীচী কল্যাণপুর শাখার সভাপতি আবু সাঈদ কথা প্রসংগে বলেন শহীদ পরিবারগুলোর কী শহীদ পরিবারের স্বীকৃতিটুকুও পেতে পারেন না? সেদিনের সেই মর্মন্তুদ ঘটনায় আত্মাহুতি দেয়া শহীদদের রক্তের উপরই তো দাঁড়িয়ে আছে আমাদের মহান স্বাধীনতার লাল সূর্য। সেদিনের সেই ঘটনাকে যাতে পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে না যায় সে জন্য কল্যাণপুরে কী ২৮ এপ্রিলের শহীদদের নামফলক খচিত স্মৃতিস্তম্ভ করা যায় না? কল্যাণপুরের রাস্তাগুলোর নাম কী শহীদ ডা.মোহাম্মদ হাসেম, সিরাজুল হক চৌধুরী, আহসান উল্লাহ চৌধুরী প্রভৃতি শহীদদের নামে কী নামকরণ করা যায় না? এ দাবি শহীদ পরিবারগুলোর মধ্য থেকে উঠে এসেছে। তারা তো তেমন কিছুই চায়নি। এ দাবি শহীদ পরিবারগুলো করতেই পারে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত