‘অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন’
প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৭, ১৮:০১
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে চালের কোনো সংকট নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হাওরে ফসলহানির সুযোগ নিয়ে কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। চালকল মালিকদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের কাছে মজুত সম্পর্কে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, এতে দেখা গেছে, তাদের কাছে তেমন মজুত নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব কাজ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে চালকল মালিকদের সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালকল মালিকদের দাবিতে ট্যাক্স বসিয়েছিলাম, কোনও দেশেই নিত্য প্রয়োজনীয় কোনও কিছুর ওপর সাধারণত ট্যাক্স থাকে না, আমাদেরও দীর্ঘদিন ছিল না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় চাল আমদানি করায় ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে আগের অবস্থায় এ ট্যাক্স উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দিয়েছি। বিষয়টি তাদের বিবেচনায় আছে। মনে করছি ট্যাক্সটা কমে গেলে দাম বাড়ানোর কারসাজি কমে যাবে।’
খাদ্যমন্ত্রী জানান, ট্যাক্স আরোপের আগে ১৫ লাখ টন ধান ভারত থেকে আসতো। এ চাল আসাতে কৃষকরা মার খাচ্ছে। তাই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। এবার দেখছি, বাজার অস্থির করে সংকট তৈরি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আগের অবস্থায় যদি ফিরে যাই তাহলে এই সংকট যারা সৃষ্টি করতে চায় তারা পিছু হটবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের এই তৎপরতা রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয় কী করছে—সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন তুললে মন্ত্রী বলেন, এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তারাই বিষয়টি তদারকি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান ও চালকল মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।