‘হাসিনার ক্ষমতা হচ্ছে মানুষকে ভালোবাসার জন্য’

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৭, ১৮:৫৬

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে অনেকে ক্ষমতায় আসেন ক্ষমতাকে ভালোবেসে। অনেকে ধন-সম্পদের স্ফীতির জন্য ক্ষমতায় থাকেন। ক্ষমতাকে ধরে রাখেন। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের জন্য, মানুষকে ভালোবাসার জন্য ।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (১৮মে) নেত্রকোনায় খালিয়াজুড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ বিতরণের ঘটনা তুলে ধরে কাদের বলেন, বিরোধী দলে  থাকতে তাকে দেখেছি কীভাবে ছিন্ন বস্ত্র পরিহিতা মহিলাকে জড়িয়ে ধরছেন। কীভাবে মানুষকে কাছে টেনে, মাথায় হাত বুলিয়ে তার স্নেহ-মমতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালে গতকাল আমি আবার তা দেখলাম।

তিনি বলেন, আমরা পলিটিশিয়ানরা কোথাও যদি ত্রাণ ও সাহায্য দিতে চাই- তাহলে চার/পাঁচজনকে দিয়েই মন্ত্রীরা চলে যান। এরপরে কর্মী বা স্থানীয়রা এগুলো দেন; এই হয় বাংলাদেশে। কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখলাম, তিনি (শেখ হাসিনা) খালিয়াজুড়িতে একটি স্কুলে গেছেন, সেখানে গিয়ে তিনি ২০৮ জনের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন। এটা আমি দেখিনি। এই প্র্যাকটিস আমি নিজেও কখনো করিনি।

সময় চলে যাচ্ছে, আমরা বারবার তাগিদ দিচ্ছি। কিন্তু তিনি শুনছেন না। সবাইকে দিয়েই তিনি এসেছেন। এরপর তিনি ইউএনওকে বলছেন, যা দিলাম তাতে আরো কিছু লোক বাকি রইল না তো। এটাই কমিটমেন্ট। এটাই মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এটাই শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, তিনি লোক দেখানোর জন্য রিকশায় উঠেননি। লোক দেখানোর জন্য ট্রলারে করে ওপারে যাননি। তিনি গিয়েছেন সত্যিকার অর্থে বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তুলনা আমি করতে চাইছিলাম না। ঢাকায় বসে যারা সমালোচনা করেন। সমালোচনার আমি বিরুদ্ধে নই। নেপোলিয়ান বোনাপার্টকে তার সভাসদরা বলত ‘কমরেড নেপোলিয়ান ইজ দ্য অলওয়েজ রাইট’। আমি নিজে বলছি, আই অ্যাম নট অলওয়েজ রাইট। আমারও ভুল হতে পারে। ত্রুটি হতে পারে। আমারও সমালোচনা থাকতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি, সমালোচকরা আমার বড় বন্ধু। আর যারা আমার বন্দনা করেন, যারা চাটুকারি-মোসাহেবি করেন- তারা হচ্ছে বড় শত্রু। চাটুকার মোসাহেবদের চেয়ে বড় শত্রু আর কেউ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মন্ত্রীরা তো আসার সঙ্গে সঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। প্রোগ্রাম দেব কিন্তু তা শেষ হওয়ার আগে তিনি রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততায় চলে যাবেন। তাহলে প্রোগ্রাম দেন কেন? আর আপনারাও তার থেকে প্রোগ্রাম নেবেন না। যারা বেশি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত; তাদের নেওয়ার দরকার নেই। প্রোগ্রাম দেবেন, প্রোগ্রামে আসতে হবে। প্রোগ্রামে যা নিয়ম আছে, এটাকে কাটছাঁট করা যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী প্রোগ্রাম শেষ করতে হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন যুবলীগের প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত