নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির ‘রোডম্যাপ’
প্রকাশ : ২৪ মে ২০১৭, ১৬:৩০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী দেড় বছরের কাজের খসড়া সূচি ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট শেষ করতে এ বছরের জুলাই থেকে আগামী বছর ভোটের তফসিলের আগ পর্যন্ত সময়ের করণীয় ঠিক করা হয়েছে এই রোডম্যাপে। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে নির্বাচনের সময় গণনা।
নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদের প্রথম সাড়ে তিন মাসের মাথায় এ রূপরেখা এল।
আগামী জাতীয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগামী জুলাই মাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপ চলবে নভেম্বর পর্যন্ত।
২৩ মে (মঙ্গলবার) কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচনের এই খসড়া রোডম্যাপ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দলগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একবারই সংলাপ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি-এ সাত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্য, সুশীল সমাজ, সাবেক সিইসি ও ইসিসহ সবার সঙ্গে বসার আগে নিজেরাই প্রস্তাবিত এজেন্ডা নিয়ে কাগজপত্র তৈরি করা হবে। এর ওপর মতামত দেবেন অন্যরা। সবার সুপারিশ, প্রস্তাব পেলে তা পর্যালোচনা করে আমরা করণীয় নির্ধারণ করব।
এ কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিতে চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে আলাদা চারটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান সিইসি। ইসি সচিব ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এ কমিটিতে রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি; নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম সীমানা পুননির্ধারণ; নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্মার্টকার্ড প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম আইন সংস্কার কমিটির প্রধান থাকবেন।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাচিবিক দায়িত্বে থাকছেন।