খুলনায় মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০১৭, ১১:০০

সাহস ডেস্ক

খুলনা মহানগরীর রায়ের মহল এলাকায় মোল্লা শাহাদাত হোসেন (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ৫ জন। নিহত শাহাদাত মোল্লা স্থানীয় মৃত গয়ের মোল্যার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ূন কবীর বুধবার (১৪ জুন) রাতে নগরীর রায়ের মহলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, নিহত শাহাদাত মহানগরীর সোনাডাঙা থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পুর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

কেএসপি কমিশনার আরও জানান, ইতোমধ্যেই শাহাদাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজনদের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, শাহাদত হোসেন মোল্লাসহ ৫/৬ জন রায়েরমহল হামিদ নগরে অবস্থিত হাজী মহসিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা সেখানে হাজির হয় এবং তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন মোল্লা নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন। তারা হচ্ছেন- লিয়াকত আলী খান (৬৭) ও তার ছেলে মোস্তফা খান (৩৮), আজম তালুদকার (২৬), রুবেল (৩৫) ও বুলবুল (৩০)। আহতরা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোস্তফা খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মোল্লা শাহাদাত হোসেনের চার ছেলের মধ্যে তিনজন বিদেশে থাকেন। অপরজন ঢাকায় ব্যবসা করেন। নগরীর মোল্লা বাড়ির মোড় ও রায়েরমহলে তার দুটি বাড়ি আছে। দিনের অধিকাংশ সময় ও সন্ধ্যার পর তিনি রায়েরমহল এলাকায় থাকতেন।

সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো দোকানের সামনে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। তিনি আরও বলেন, শাহাদাত মোল্লা বর্তমানে ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে প্রস্তাবিত সোনাডাঙ্গা থানা কমিটিতে তাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রাখা হয়।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, নিহত শাহাদাতের মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গত ২৫ মে খুলনার ফুলতলা উপজেলায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪২) এবং তাঁর দেহরক্ষী নওশের গাজীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত