রামগঞ্জে চেয়ারম্যানের উপর বোমা হামলা

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৭, ১৯:৪৬

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কালিতলা সড়কে শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহর উপর বোমা হামলা চালিয়েছে।

এতে চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রায়হান গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যান সহ আহতদের উদ্ধার করে রাতেই রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সোন্দড়া গ্রামে পাহারাদারদের খোঁজ খবর নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীরামপুর রওনা হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী রায়হান হোসেনসহ চেয়ারম্যান উত্তর শ্রীরামপুর কালিতলা সড়কে পৌঁছা মাত্রই সন্ত্রাসীরা কয়েকটি বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এসময় চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা মোটর সাইকেল থেকে সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

চেয়ারম্যানের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বলেন, শুক্রবার ইফতারের পূর্বে শ্রীরামপুর রায়গো বাড়িস্থ চেয়ারম্যানের বসতঘরে স্থানীয় এমপি লায়ন এম.এ আউয়ালের ছোট ভাই লায়ন এম.এ সালাম লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়ে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ বলেন, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খানের দেওয়ায় ১২ শতাধিক দুস্থ্য পরিবারে শাড়ি-লুঙ্গি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করায় এমপির ছোট ভাই লায়ন এম. এ. সালাম ক্ষীপ্ত হয় এবং নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমপির ভাইয়ের নির্দেশে ইউপির দুখু মেম্বার, সবুজ মেম্বার, আজাদ পাটোয়ারী, মিলন পাটোয়ারী ও সবুজ হোসেন হামলা করতে পারে।

এমপি লায়ন এম.এ. আউয়ালের ছোট ভাই লায়ন এম.এ. সালাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ অন্যায়ভাবে এলাকাবাসীর উপর হোল্ডিং টেক্স চাপিয়ে দিয়েছে। এতে রমজানে হতদরিদ্র পরিবারগুলো হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ৪০/৫০ জন এলাকাবাসীসহ আমি চেয়ারম্যানের বসতঘরে গিয়ে টেক্স কমানোর দাবি করেছি। ভয়ভীতি বিষয়টি সঠিক নয়।

থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন, বোমা নয় ককলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত