বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এ বাজেট: শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৭, ১৮:১৮

সাহস ডেস্ক

প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে দেশকে গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য এ বাজেট দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টা ৫৫মিনিটে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন শেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ধারাবাহিকভাবে গণমুখী বাজেট প্রদান করেছে। এবারের বাজেটে একইভাবে দেশের বৃহত্তর জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সাফল্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আত্ম প্রকাশ করেছে।

তিনি বাজেটের সমালোচনার জবাবে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ’৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এ বাজেট দেয়া হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক ভালো দিক রয়েছে বিশেষ করে নিত্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী পণ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যকে বাজেটে ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে দেশের সকল গরীব ও নিন্ম আয়ের মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে বাজেটে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভাতাভোগী সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব ভালো দিকের কথা না বলে অর্থমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

আমির হোসেন আমু শিল্প খাতে বিগত সাড়ে ৩ বছরে বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে দেশে দ্রুত শিল্পায়নে বেসরকারি খাতের বিকাশে সরকারের বিভিন্ন সহায়তার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাজধানী থেকে ট্যানারী শিল্পকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানান্তর শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ শিল্পের জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় শিল্প পার্ক স্থাপনসহ প্লাস্টিক, মুদ্রণ শিল্প, ক্যামিকেল কারখানা, হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য ঢাকার অদূরে পৃথক পৃথক শিল্প পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জনগণ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান, ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আবার দেশে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওই সময়ের মতো বাংলাদেশের জনগণ তা প্রতিহত করবে।

তিনি বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, জনগণ এখন অসাংবিধানিক সরকার প্রত্যাখ্যান করায় তারা সহায়ক সরকার নামে তা আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু এদেশে আর কখনও অসাংবিধানিক কোনো সরকার আসতে দেয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত