‘সরকার ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করুন’

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৭, ১০:৪৭

সাহস ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সরকার ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালনে আরো বেশি আন্তরিক হতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

আজ ২৩ জুন ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে প্রদত্ব গতকাল এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি দান এবং পেশা হিসেবে পাবলিক সার্ভিসকে বেছে নিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আবদুল হামিদ বলেন, জনকল্যাণে সরকার গৃহীত কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে দক্ষ, গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত দক্ষতা ‘সিভিল জনপ্রশাসনের ভিত্তি’।

বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে সৎ, দক্ষ, মেধাবী এবং উদ্ভাবনী ও প্রতিশ্রুতিশীল সিভিল সার্ভেন্টদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

আবদুল হামিদ তার বাণীতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেন,প্রশিক্ষণ জানার পথকে প্রশস্ত করে, নতুন নতুন ধ্যান-ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটায়। তাই সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য’। এ জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সবসময় জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে এবং দ্রুততার সাথে কাঙ্খিত সরকারি সেবাসহ সকল ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক সার্ভিসকে শুধু পেশা হিসেবে নয়, ব্রত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত সেবা পৌঁছাতে মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জনমুখী প্রশাসন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সিভিল সার্ভিসে নিবেদিতপ্রাণ কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করতে ‘সিভিল সার্ভিস পদক’ প্রবর্তন করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রবর্তনের উদ্যোগ। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রণোদনামূলক এসব কর্মসূচি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে আরো উৎসাহিত করবে।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সরকার ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে আরো বেশি আন্তরিক হবেন, আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে-এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সাফল্য কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত