অসাধু ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়িয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০১৭, ১৬:৩০

সাহস ডেস্ক

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের রেজিস্টার্ড ডিলারদের কাছে বর্তমানে ১ কোটি ৬ লাখ টন চাল মজুদ আছে। তবে হঠাৎ করে আমাদের মজুত কমে যাওয়ায় আমরা চাল আমদানি করছি।

মন্ত্রী বলেন, হাওরে আগাম বন্যায় প্রায় ছয় লাখ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে আরও কিছু জায়গায় ফসল নষ্ট হয়েছে। আর এবার ফলনও কিছু কম হয়েছে। তার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রী আগামী অর্থ বছরের বাজেটে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করলে কয়েকজন সংসদ সদস্য তাতে আপত্তি তোলেন। ওই আপত্তির জবাব দিতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল অতি শিগগিরই দেশের বাজারে আসবে। দরপত্র আহ্বান করা দেড় লাখ টন চালও আসবে। মোট চার লাখ টন চাল পাইপলাইনে আছে। আমাদের নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমদানিকৃত চালের ওপর ট্যাক্স কমানোর জন্য এপ্রিল মাসে এনবিআর-এ আবেদন করেছিলাম। তখন যদি ট্যাক্স কমানো হতো এবং আমদানিকৃত চাল দেশে আসতো তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কিছুটা সময় দেরি করে প্রধানমন্ত্রী চালের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছেন। এতে আর কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’

এসময় খাদ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘সবাইকে আমি আস্বস্ত করছি, চালের কোনও সংকট নাই।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত