বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি, ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫২

উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

রবিবার বিকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১২টার পর তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়। একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে তিস্তার পাড়ের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষজন।

এদিকে তিস্তা বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার নদী বেষ্টিত চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চরের নিচু অঞ্চলের বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিচু অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মর্মে টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানান।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন- ফরেস্টের চরের অধিকাংশ বাড়িতে হাটু পানিলে তলিয়ে গেছে।

খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, পুর্ব বাইপুকুরে বসতবাসদের ঘর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন ঝাড়সিংহেস্বর এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলের বসতবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উজানের ঢলের কারনে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় তা  বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
 
তিস্তা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩২ মিলিলিটার। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাইল করিম।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক নজর দিচ্ছেন প্রশাসন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত