বিপদসীমার ওপরে যমুনার পানি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৯
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তিস্তা নদীতে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় ভারতের পানিও। আর এতে করে যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ের ডাটা এন্টি অপারেটর আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। পানিবন্দি মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। বন্যাকবলিতদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার থেকে যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ১৯৪টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ হাজার ৮১৬ পরিবার ও ৬১ হাজার ১৮৬ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের মধ্যে ৮৪ টন চাল ও তিন লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বাড়ায় জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্য পাউবো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা জানান, বন্যাকবলিতদের মধ্যে এরই মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি চিড়া, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, ডাল, দিয়াশলাই, মোমবাতি, মুড়িসহ দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপজেলাওয়ারি দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক বন্যা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। বন্যায় যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় এবং বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।