খুলনায় গুলিবিদ্ধ লাশের পরিচয় মিলল, পরিবার জানত জেলে
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৩
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে ২১ জুলাই (শুক্রবার) সকালে পাওয়া গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। ওই যুবকের নাম রাজু আহমেদ। তিনি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ১৯ জুলাই (বুধবার) যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাজুর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। তাদের দাবি, মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাজু। ২১ জুলাই (শুক্রবার) রাজুর লাশ পেলেন স্বজনরা। গত বুধবার কারাগার থেকে রাজুকে আনতে গিয়ে স্বজনরা জানতে পারেন, মাইক্রোবাসে করে রাজুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, চৌগাছা থেকে রাজুর লাশ নিতে স্বজনরা খুলনা রওনা হয়েছেন।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির ছবি দেখার পর রাজু আহমেদের স্ত্রী সেতু আহমেদ লাশ শনাক্ত করেন।
রাজু আহমেদের প্রতিবেশী অধ্যাপক আতিকুর রহমান জানান, মহেশপুর উপজেলায় একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় কয়েক মাস আগে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় জামিন হলে আবার ঝিকরগাছায় অন্য একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। সর্বশেষ যশোর ঝিকরগাছা শার্শা থানার বিএনপির ৮০ জন নেতাকর্মীর নামে দেওয়া নাশকতা মামলায় রাজুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
যশোরের চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিয়ার রহমান জানান, রাজু আহমেদকে মহেশপুর থানার চুরি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার পরিবারের সদস্যরা লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেছে বলে তিনি শুনেছেন।
মুক্তি পাওয়ার পর রাজুকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মিজানুর রহমান জানান, কারা তুলে নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না।
এদিকে রাজুর প্রতিবেশী আতিকুর রহমান জানান, রাজু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তবে এ বিষয়ে চৌগাছা বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম জানান, রাজু বিএনপির কর্মী ছিলেন না। বরং ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে রাজুর ওঠাবসা ছিল।
২২ জুলাই (শনিবার) সকালে লাশ উদ্ধার হওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান। তিনি জানান, যুবকটিকে ঘটনাস্থলেই এনে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে।