রাজাপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুটি খাল ভরাটের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৬:৫৮

রহিম রেজা

ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধার বিরুদ্ধে সদরের বাজারের উত্তর পাশের খাল বরাট এবং রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ রোডের মন্দির এলাকার একটি ভারানী খাল বালু ফেলে ভরাট ও দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলেজ রোডের মন্দির এলাকার ভারানী খাল বালু ফেলে পুরোপুরি ভরাট করে প্লোট তৈরি করায় কলেজ রোড ও পুরাতন জেল খানা এলাকার সামনের এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

কলেজ রোড ও পুরাতন জেলা থানার সামনের বাসিন্দা আব্দুল বারেক, মুসা হোসেন ও মনিরুজ্জামানসহ ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করে জানান, কলেজ রোডের সার্বজনিন বারোয়ারী শ্রীশ্রী কালিমন্দির থেকে পূর্ব দিকের সুশীলদাসের বাড়ির দিকের ইটের রাস্তা রয়েছে। মন্দির এলাকার সেই রাস্তার ডান পাশে স্থানীয় জাকারিয়ার কাছ থেকে পরিত্যক্ত একটি ডোবার ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা। ওই জমির পূর্ব পাশে ক্রয় করেছে। ওই জমির পূর্বপাশে খাল ছিল কিন্তু ক্রয়কৃত ওই ডোবার জমি ভরাট করায় সময় খালটিও ভরাট করে বিক্রির জন্য প্লট তৈরি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর মৃধা। তখন স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের ওপর চড়াও হয়।

পানিবন্দী এলাকায় বসবাসকারী সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান হাওলাদার জানান, এলাকার মানুষদেরকে পানিবন্দী থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সদর চেয়ারম্যানের বালু দিয়ে ভরাট করা ওই স্থানের রাস্তা কেটে একটি বক্স ড্রেন নির্মাণ করে দিয়েছিলাম। অন্য কোন জায়গা থেকে কেউ পানি নিষ্কাশনের জন্য জমি দিতে রাজি না হওয়ায় ওই খালের জমি খসরকারি বলে শোনা কথায় ড্রেন নির্মাণ করি। তবে জমিটা সঠিক কার সেটা কাগজ না দেখে বলা যাবে না। ওই স্থানে বালু দিয়ে ভরাট করায় আমি নিজেসহ এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও। অভিযুক্ত সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধার মতামত জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, শারিরীক চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন।

ইউএনও আফরোজা বেগম পারুল জানান, বাজার এলাকার খাল দখলের স্থান পরিদর্শন করে সদর চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষনিক দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগতব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্দির-জেলখানার সামনের এলাকার খাল ভরাট ও পানিবন্দির বিষয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত