মেজর জিয়াউদ্দিনের অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৭:০৭

সাহস ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী বীরসেনানী, সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা দেশ-জাতির জন্য তার অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ আয়োজিত সদ্য প্রয়াত মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা এই দাবি জানান।

গত ২৮ জুলাই শুক্রবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর সভাপতি ও সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সুন্দরবনকে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত রাখার জন্য তিনি এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর মহাসচিব, লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব প্রবাদ প্রতীম মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের সুন্দরবন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অবদানের কথা জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

তিনি তাঁর অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর স্মৃতি রক্ষার জন্য রাজধানীর একটি রাস্তার নামকরণ তার নামে করতে হবে। জিয়াউদ্দিনের অসম সাহস, উদ্দম, দেশপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি স্মরণসভায় উল্লেখ করেন।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যুগ্ম-মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী প্রয়াত জিয়াউদ্দিনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়ার দাবি জানান।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আইন সম্পাদক হাবিবুর রহমান শওকত বলেন, জিয়াউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রাজনীতি সবখানে সুন্দরবনকে নিয়েই ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর ৪৬ বছর পর্যন্ত তিনি সুন্দরবনকে জীবনে ধারণ করেছেন। এজন্য সুন্দরবন ও জিয়াউদ্দিন এক ও অভিন্ন নাম। সুন্দরবন যতদিন থাকবে, জিয়াউদ্দিনের নাম ততদিন থাকবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিলেন।

ক্যাপ্টেন (অব.) শচীন কর্মকার জিয়াউদ্দিনের দূরদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, তিনি সুন্দরবন এলাকায় রাসপূর্ণিমা উদযাপনের আয়োজন করে তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

স্মরণ সভায় প্রয়াতের সন্তান জাহিদ উদ্দিন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী বীর উত্তম ও নুরুল আলম, যুগ্ম-মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আলী সিকদার, ক্যাপ্টেন (অব.) শচীন কর্মকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জিয়াউদ্দিনকে ১ আগস্ট পিরোজপুর শহরের পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত