মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২৭

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিও) এর যৌথ আয়োজনে “মাটির উপরের (ভূ-উপরিস্থ) পানি ব্যবহার করে সেচ” শীর্ষক চ্যালেঞ্জ ফান্ড এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

৯ আগস্ট ২০১৭ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়-এর অতিরিক্ত সচিব বি এম এনামুল হক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামান এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শামসুল হোদা, এটুআই এর ডিরেক্টর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। 

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই প্রোগ্রাম এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। 

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ নলকূপ রয়েছে যেগুলোর সামগ্রিক উত্তোলনে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। আর উত্তোলিত পানির ৮৭% সেচকাজে ব্যবহৃত হওয়ায় স্তর নেমে যাওয়ার প্রধানতম কারণ সেচব্যবস্থা।

অন্যদিকে গড়ে প্রতি বছর আবাদী জমির ১% হ্রাসমান হার নিয়েও বিগত ৪ দশকে বাংলাদেশে ধান উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ, গম ২ গুণ, সবজি ৫ গুণ, ভুট্টা ১০ গুণ। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে আরো সুসংহত করতে দেশের ক্রমহ্রাসমান আবাদী জমিতে বাড়াতে হবে আবাদের পরিমাণ; এমনকি আবাদযোগ্য কিন্তু পতিত প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমিকেও আনতে হবে আবাদের আওতায়। মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ প্রদান নিয়ে উক্ত এলাকার মাটি ও ভৌগলিক বৈচিত্রের সাথে মানানসই কিছু উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন।

বাংলাদেশের যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে খরা অঞ্চল, চর অঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল, লবণাক্ত অঞ্চল, অথবা হাওড় অঞ্চলে প্রয়োগ করা যায় এমন টেকসই, বাস্তবসম্মত ও সুলভ কোন সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন যা ব্যবহার করে ফসলের আবাদের পরিমাণে কোন প্রকার ঘাটতি না ঘটিয়ে মাটির উপরের পানি দিয়ে সেচকাজ সম্পন্ন করা যাবে। আর এই সমাধান বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবে এটুআই প্রোগ্রামের চ্যালেঞ্জ ফান্ড।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত একাধিক পাইলট প্রকল্পের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সমাধানসমূহ দেশের চিহ্নিত অঞ্চলসমূহে কৃষকদের কাছে সেবা হিসেবে পৌঁছে দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। 

http://www.challenge.gov.bd/irrigation লিঙ্কে ভিজিট করে চ্যালেঞ্জ ফান্ডের আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং অনলাইনে সমাধান দাখিল করা যাচ্ছে। আবেদন জমাদানের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫টি ভিন্ন ধরণের এলাকায় ১টি করে মোট ৫টি নির্বাচিত উদ্ভাবনী সমাধান পাইলটিং এর জন্য প্রকল্প প্রতি সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ সর্বমোট সর্বোচ্চ ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহ কৃষি সংক্রান্ত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এটুআই প্রোগ্রামের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত