তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৮:০২

আসাদুজ্জামান সাজু

৪ দিন ধরে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের লালমনিরহাটে তিস্তা নদী পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা পাড়ের বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা নদীর উপর থাকা তিস্তা ব্যারাজের উজানে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী (পানি পরিমাপক) প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ। পানি আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

ফলে তিস্তা নদীর দুই তীরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিসহ বন্যা বিরাজ করছে এসব এলাকায়। এসব এলাকার প্রায় ১ হাজার পরিবারের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের কাকিনা, তুষভান্ডার, আদিতমারীর মহিষখোচা, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন তিস্তা নদী বিধৌত হওয়ায় কিছু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার প্রায় এক হাজার পরিবারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য তিস্তা পাড়ের বসবাসরত লোকজনকে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, তিস্তা নদীর পানিবৃদ্ধির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।