নোট দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে আটকে ধর্ষণ!

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১১:০৯

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার একটি স্কুলে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলের অফিসকক্ষের ভেতরে ওই ছাত্রীকে শিক্ষক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষকের নাম সুজন মিয়া। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সুজন পল্লবীর ওই স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। জানা গেছে, ওই শিক্ষক তিতুমীর কলেজের ছাত্র। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্লবী থানার উপপরিদর্শক মণি আরা। রিমান্ড আবেদন করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নে একেকবার একেক রকম কথা বলেন তিনি। ঘটনার শিকার মেয়েটির বাবাও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাবার পেশায় একজন গাড়িচালক। তারা পল্লবী এলাকায় বসবাস করেন। ওই এলাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে ওই ছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. সুজন মিয়া (২৪) বেশ কয়েক দিন ধরে ওই ছাত্রীকে স্কুলে কোচিং করার সময় বিভিন্ন খারাপ প্রস্তাব দিয়ে উক্ত্যক্ত করতেন।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার সময় ওই ছাত্রী স্কুলে কোচিং করার জন্য যায়। কোচিং শেষে রাত ৮টার দিকে অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ওই ছাত্রী বাসায় যাওয়ার সময় শিক্ষক সুজন কোচিংয়ের নোট দেওয়ার কথা বলে তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলের অফিস রুমের দরজা আটকে জোর করে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে সুজনকে আটক করে এবং পল্লবী থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজনকে গ্রেপ্তার করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত