ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামারপাড়া

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫৪

তপু আহম্মেদ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের কামাররা। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় অন্যবারের চেয়ে এবারে দা-বটি, ছুরি ও চাপাতির দাম কিছুটা বেশি। তবে এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু না হলেও চলছে দিন-রাত টুং-টাং শব্দে কাজ।

কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। সামনে আগুনের শিখায়-তাপদেয়া, হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটি, চাপাতি ও ছুরি। পশু কোরবানিতে এসব অতিব প্রয়োজনীয়।

নতুন তৈরির সঙ্গে শহর ও গ্রাম-গঞ্জে সবজায়গায় কামাররা সমান ব্যস্ত পুরোনো দা-বটি, ছুরি ও চাপাতিতে শান দিতে। আবার মোটর চালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজও চলছে। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার দাম কিছুটা বেশি দামেই কিনতে হবে এগুলো।

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিদাতারা কোরবানির পশু কাঁটাছেড়া করার জন্যে পরিবারের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দা-বটি ও ছুরি শান দেওয়ার জন্যে আসছে কামারদের কাছে। এর ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা। অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

পার্ক বাজার এলাকার বাদল কর্মকার জানান, সাধারণত স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে দা-বটি ও ছুরি তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।

এ ছাড়াও লোহার মানভেদে স্প্রিং লোহা ৫০০ টাকা, নরমাল ৩০০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৪০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে শুরু, চাপাতি ৫০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

টাঙ্গাইল পাঁচআনি বাজারের দুলাল কর্মকার বলেন, বছরের ১১ মাসে ব্যবসা হয় এক রকম আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। ঈদুল আযহা উপলক্ষে সদর ও উপজেলাগুলোতে আমাদের কামারের দোকানদারদের বেচা-বিক্রি ও ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

তবে দাম কিছুটা বাড়লেও প্রভাব পড়েনি ক্রেতাদের মাঝে। অনেকেই স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছে দাম বাড়ার বিষয়টিকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত