বাদপড়ারা ভোটার হতে পারবেন

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১২:১৪

সাহস ডেস্ক

বাদপড়া বা ভোটার হওয়ার যোগ্য এমন নাগরিকরা চাইলে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে এখনো ভোটার হতে পারবেন। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে যাঁরা তথ্য দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

গত রবিবার থেকে সারা দেশে ভোটার নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের সময় যাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি, তাঁরা জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট দলিলসহ নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন।

গত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০ আগস্ট থেকে এসব নাগরিকের তথ্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে স্থানীয় নির্বাচন কেন্দ্রে। তিন ধাপে এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে, তাদের ভোটার করা হচ্ছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, হালনাগাদ কর্মসূচি অনুযায়ী ২০ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮৩টি, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২১৬টি এবং ১৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১১৮টি উপজেলায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। এসব এলাকায় নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো স্থানে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যারা এরই মধ্যে ভোটার হতে পারেননি, তাদের এখনো কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে সারা বছর ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।

এস এম আসাদুজ্জামান আরো জানান, বন্যার কারণে যেসব এলাকায় নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন শুরু করা যায়নি, তাদের দ্বিতীয় বা শেষ ধাপে সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে যেসব কাগজ লাগবে সেগুলো হলো—এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ১৩ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি, ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ঠিকানা প্রমাণের সপক্ষে বাসা/বাড়ির ট্যাক্স প্রদানের/চৌকিদারের রসিদ/যেকোনো বিলের কপি/জমির দলিলের ফটোকপি ইত্যাদি।

ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে চলছে নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম। কখন কোন এলাকায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে, তা এলাকায় মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া হেল্পলাইন ১০৫ নম্বরে ফোন করেও এ-সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত ভোটারদের নাম বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। ১৮ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকার জন্য মুদ্রণকাজে সরবরাহ করা হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

ইসির তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখের মতো ভোটার রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত