‘সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারে মধ্যে কোন শিল্প কারখানা নয়’

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫১

সাহস ডেস্ক

সুন্দরবনের আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সেখানে বিদ্যমান শিল্প কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের এক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

রিট আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন। সঙ্গে ছিলেন শেখ তাহসান আলী, ব্যারিস্টার রুমানা জামান, ব্যারিস্টার মো. আসিফুর রহমান।

একই রুলে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ এবং ওই এলাকায় নতুন করে শিল্প কারখানা স্থাপন না করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৪ এপ্রিল ‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম পরিবেশ, বন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ১২ জনকে বিবাদী করে হাইকোর্টে এই রিট করেন। 

রিট আবেদনে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লংঘন। তা ছাড়া এসব শিল্প কারাখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

প্রসঙ্গত, সুন্দরবন লাগোয়া রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বিতর্ক চলছে গত কয়েক বছর ধরে। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটির ক্ষতি করবে।

এর মধ্যে আশেপাশের এলাকায় ভারী শিল্পসহ নানা স্থাপনা তৈরির খবর এসেছে গণমাধ্যমে। জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্য বিষয়ক শাখাও এই বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত