মা’কে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার দুর্গম চরে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

রবিবার গভীর রাতে মেয়েটির পিতা কলিম উদ্দিন বাদি হয়ে ডিমলা থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটির ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় মর্মে নিশ্চিত করেন গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুলতানা রাজিয়া। বর্তমানে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে ৬নং ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত রবিবার ভোরে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নর দুর্গম চর পশ্চিম ছাতুনামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাকে বাড়ির উঠানে বেঁধে রেখে ৩ সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার দিন পশ্চিম ছাতুনামা গ্রামের মেয়েটির বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মুমুর্ষ অবস্থায়, ও রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় মা ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার বাদী কলিম উদ্দিন বলেন, রবিবার ভোরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার আসামিরা আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তাকে হাত পা বেঁধে কাধে করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমার স্ত্রীকে জামাতার বাড়ির উঠানে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।

ডিমলা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী শাহাবুদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।