বাগেরহাটে হাতকড়াসহ আসামি ‘ছিনতাই’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পান্না বিশ্বাস (৪৪) নামে একধিক মামলার এক আসামিকে হাতকড়াসহ তার স্বজনেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। সে একই উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের খোকা বিশ্বাসের ছেলে।

এ সময় চিতলমারী থানার এএসআই নূর আলম, হাবিবুর রহমান এবং কনস্টবল সাদমান শেখ। তাদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চিতলমারী থানার ওসি অনুকুল সরকার জানান, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামে এ ঘটনায় আজ রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে এএসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ এনে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।  

পান্না বিরুদ্ধে তার থানায় অন্তত ১০টি মাদক মামলা রয়েছে; যার মধ্যে চারটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

ওসি অনুকুল সরকার বলেন, শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এএসআই নূর আলম, হাবিবুর এবং কনস্টবল সাদমান পরাণপুর গ্রাম থেকে পান্নাকে গ্রেপ্তার করেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে থানার দিকে ফিরছিলেন তারা। পথে তার স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পান্নাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় ওই তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে বাড়তি পুলিশ গিয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে জানান তিনি। হামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পান্নার দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা করে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের মচন্দপুর গ্রামের ওলিম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে গাউস বিশ্বাস (৫২) ও একই উপজেলার পরাণপুর গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা (৪২)।