মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বারের অবদান চিরস্মরণীয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫২

সাহস ডেস্ক

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী স্বাধীনতাযুদ্ধের কণ্ঠ সৈনিক আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বাবের গান মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের তরুণ সমাজকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যু আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ এই শিল্পীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল জব্বাব। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। 

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবদুল জব্বার গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে সারা কলকাতার ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সে সময়ে পাওয়া ১২ লাখ টাকা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন।

১৯৩৮ সালে ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মেছিলেন আবদুল জব্বার। ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬২ সালে চলচ্চিত্রে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ আসে তার কাছে। ১৯৬৪ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে নিয়মিত গাইতেন তিনি।

জীবদ্দশায় ছয় হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন আবদুল জব্বার। এর মধ্যে কালজয়ী হয়ে আছে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’, ‘পীচঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি’ প্রভৃতি। 

কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের প্রথম স্ত্রী হালিমা জব্বার একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার এক মেয়ে দুই ছেলে মিথুন জব্বার এবং বাবু জব্বার। তারাও কণ্ঠশিল্পী। দ্বিতীয় স্ত্রী শাহীন জব্বার ছিলেন গীতিকার। তাদের মেয়ে মুনমুন জব্বার নৃত্যশিল্পী। তার তৃতীয় স্ত্রী ডলি জব্বার বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত