সিরাজগঞ্জ আ.লীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১২ নেতার পদত্যাগ

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৪

সোহাগ লুৎফুল কবির

সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সদ্য ঘোষিত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিকে অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ উল্লেখ করে কমিটি বাতিলের দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১২ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। 

সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু বলেন, একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন অগণতান্ত্রিক এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পদত্যাগকারী নেতারা হলেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের নব গঠিত কমিটির সদস্য গাজী মিজানুর
রহমান দুদু, রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন, একই এলাকার গাজী আকবর হোসেন তালুকদার, ছোনগাছা এলাকার সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শফি, বাগবাটির বাবলু মল্লিক, আব্দুল লতিফ ও রঞ্জু আহম্মেদ, মেছড়া এলাকার বাদশা আলম, রজব আলী ও আল আমিন।

সাংবাদিক সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান দুদু  লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কাউন্সিল এ কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আজাহার আলী খানকে সভাপতি ও তাকে (গাজী মিজানুর রহমান দুদু) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দেওয়া হয়। এর মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি আজহার আলী খান মৃত্যুবরণ করেন।

এর কয়েক মাস পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াও মৃত্যুবরণ করেন। যে কারণে উপজেলা কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি থেমে যায়। তবে কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির একাধিক সভায় উপজেলা কমিটি অনুমোদেনের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অনুমোদন করা থেকে বিরত থেকে কালক্ষেপন করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত