মসজিদ মন্দিরের উন্নয়নে বরাদ্দ পাচ্ছেন সাংসদরা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৬

অনলাইন ডেস্ক

দেশের প্রত্যেক উপজেলায় মসজিদ-মন্দিরসহ সামাজিক, ধর্মীয় এবং খেলাধুলা বিষয়ক অবকাঠামো উন্নয়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ৬৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি উপজেলায় অন্তত এক কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ধর্মীয় অবকাঠামো উন্নয়নসহ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) একনেকে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ১৮০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৪ হাজার ৪৬২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৯ কোটি ৯৩ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৬৯৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা বরাদ্দ পাবেন সংসদ সদস্যরা। সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো যেমন-কবরস্থান, শ্মশান, মসজিদ, মন্দির, চার্চ, প্যাগোডা, গুরুদুয়ারা, ঈদগাহ, খেলার মাঠের উন্নয়ন করা হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সমাজের কল্যাণ ও সংহতি সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে- সিটি করপোরেশন ব্যতীত দেশের ৪৯১টি উপজেলায় ১ কোটি করে ৪৯১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া পূর্ত কাজের বরাদ্দ হিসেবে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। প্রতিটি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার উন্নয়ন করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- ‘বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প, এর ব্যয় ৯৮৬ কোটি টাকা। সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২১৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পোল্ডার নং ৭২-এর ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রকল্প, এর বাস্তবায়ন খরচ হবে ১৯৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

এ ছাড়া নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ, এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর- দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ষষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩ দশমিক ৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, যার বাস্তবায়ন খরচ হবে ৩৯৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। যমুনা নদীর ভাঙ্গন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ী ও শুভগাছা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

গোপালগঞ্জ বহুতল বিশিষ্ট সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।