মোবাইল ফোনের জন্য বন্ধুকে হত্যা : আসামির জবানবন্দি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তক্তিপুর মহাশ্মশান ঘাট এলাকায় গত ৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান টকিন (২৫) নামে এক রংমিস্ত্রিকে হত্যা করা হয়। মামলার আসামি মুকিমুল ইসলাম মুকিম (১৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন।

নিহত টকিনের ব্যবহৃত দশ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনসেটের জন্য মুকিমুল ও তার আরেক বন্ধু নাসিম (২৫) টকিনকে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে শ্মাশান ঘাট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এ ব্যাপারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে তক্তিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে টকিন নিখোঁজ হন। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শ্মশান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ওই রাতেই টকিনের পিতা মানিরুল ইসলাম অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ মামলার তদন্ত শুরু করেই নিহত টকিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের খোঁজ করেন। মোবাইলটি লাশের সঙ্গে পাওয়া না যাওয়ায় এর কললিস্ট ও ট্রাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১২ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জের রানীহাটী বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকারীরা মাত্র ১৮০০ টাকায় মোবাইলটি ওই দোকনে বিক্রি করে। এই সূত্র ধরে পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার নতুন আলীডাঙ্গার নিজ বাড়ি থেকে ফারুক আহমেদের ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র মুকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছে অপর আসামি একই এলাকার সেসেরুল ইসলামের ছেলে কাঠমিস্ত্রি নাসিম।

নিহত টকিনের পিতা ও মামলার বাদী তক্তিপুর গ্রামের মানিরুল ইসলামি হত্যা মামালার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি জানান, নিহত মুকিমের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, অপর আসামি নাসিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত