রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে বেরুলে গ্রেপ্তার: আইজিপি

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৩

সাহস ডেস্ক

পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত আশ্রয় শিবিরের বাইরে বেরুলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে পূজা উদযাপন কমিটি ও আশুরা উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

একেএম শহীদুল হক বলেছেন, এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২০০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত না হলে শরণার্থী হিসেবে তারা কোন সুযোগসুবিধা পাবেন না। ফলে এই উদ্যোগের পেছনে অন্যতম উদ্দেশ্য হলো রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যারাই সাহায্য করতে চান কিংবা ত্রাণ পাঠাতে চান, সেটি সরকারের মাধ্যমে করতে হবে।

এর আগে শনিবার রাখাইন থেকে পালিয়ে যেসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের বাড়ি ভাড়া দেয়া যাবে না ও পরিবহনে তোলা যাবে না বলে এক নির্দেশনা জারি করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন টক শোতে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করা হচ্ছে। তারা সেটা করতেই পারেন। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে সেটা তাদের (রোহিঙ্গা) স্বার্থেই করা হচ্ছে।’

আইজিপি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিদেশি, অন্য দেশের নাগরিক। এদেশে থাকার কোনও বৈধ কাগজপত্র তাদের নেই। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, মানবিক কারণে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাদের আইডি কার্ড দেওয়া যায়। ডাটাবেজ তৈরি করা যায়। বাইরে থাকলে তো আর এটা করা যাবে না। তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।’

রোহিঙ্গারা বাইরে গেলে কি কি সামাজিক সমস্যা হতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা তো চেষ্টা করবে বিভিন্ন উপায়ে এদেশের নাগরিক হওয়ার। এটা করতে গিয়ে তারা প্রতারকের খপ্পড়ে পড়তে পারে। হয়রানির শিকার হতে পারে। সেজন্য তাদের ক্যাম্পে থাকা উচিত। কোথাও রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে এ তথ্য কারও কাছে থাকলে তা পুলিশকে জানানো উচিত।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা-পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর নতুন করে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের মতো বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুরা। এ পর্যন্ত আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গার সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার শিশু বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংগঠনগুলোর জোট ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত